
ডেস্ক রিপোর্ট | শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২২ | প্রিন্ট
প্রাণঘাতী করোনা প্রতিরোধে টিকা পাননি বা নেননি জাতীয় দলের ফুটবলাররা। টিকা না নেয়ায় সফর বাতিল। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের যাবার কথা ছিল ইন্দোনেশিয়ায়। জাতীয় দলের বেশ ক’জন ফুটবলার এখনো এক ডোজ টিকাই নেননি। কিন্তু ইন্দোনেশিয়ায় যেতে চাই দুই ডোজ টিকা। শেষে বাতিলই হয়ে গেলো সফর।
টিকা নিয়ে কতো লড়াই, অপেক্ষা। কিন্তু দেশের তারকারাই টিকার বাইরে। এ যেন চমকে যাবার মতো সংবাদ।
ফুটবলের অভিভাবকরা এতোদিন কি করলেন? সফর বাতিল হতে হলো কেন? এটুকু খোঁজ কি তারা রেখেছেন? বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন নিয়েছেন টিকা সেই শুরতেই, ৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালে। তিনি অভিভাবক হয়ে টিকা নিলেন, অন্যরা যে নেননি তার খবর কি তিনি রাখেন?
বাফুফের নেতৃত্বে আছেন দেশের স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গরা। তারা কি তাদের দায়িত্ব পালন করছেন ঠিকভাবে? দেশের ফুটবল যৌবন হারিয়েছে। যৌবন ফেরাতে প্রাণান্তর চেষ্টার কথা বরাবরই বলে আসছেন কর্তা-ব্যক্তিরা। এই তার নমুনা। যেখানে বুস্টার ডোজ দেয়া হচ্ছে সেখানে টিকা পাননি জাতীয় তারকারা।
আগামী ২৪ ও ২৭শে জানুয়ারি স্বাগতিকদের বিপক্ষে দুটি ম্যাচে মাঠে নামার কথা ছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। বৃহস্পতিবার বাফুফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্দোনেশিয়া হতে জানানো হয়, ইন্দোনেশিয়ায় প্রবেশের ক্ষেত্রে সকল খেলোয়াড় ও টিম অফিসিয়াল প্রত্যেকের কোভিড-১৯ দুটি ডোজ টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক। বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের প্রাথমিক নামের যে তালিকা রয়েছে, সেখানে কিছু খেলোয়াড়ের দুই ডোজ টিকা নেয়া থাকলেও কিছু সংখ্যক খেলোয়াড়ের অদ্যাবধি কোভিড-১৯ টিকার এক ডোজ এবং কিছু সংখ্যক খেলোয়াড় কোনো ডোজ টিকা গ্রহণ না করায় উক্ত দুটি ফিফা টায়ার-১ ম্যাচে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান ও বাফুফে সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ এক ভিডি বার্তায় বলেছেন, যে খেলোয়াড় তালিকা করা হয়েছে, সেখানে ১৫ জনের দুই ডোজ টিকা দেয়া আছে। সাত জনের এক ডোজ দেয়া আছে ও বাকি ছয় জনের কোনো টিকা দেয়া নেই। এ কারণে আমরা যেতে পারছি না।
বিজ্ঞপ্তিতে বাফুফে আরও জানিয়েছে, শিগগিরই ফুটবলারদের দুই ডোজ টিকা নেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল ও বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সমন্বয়ে ৪০-৫০ জন খেলোয়াড়ের একটি তালিকা তৈরি করে অতি শীঘ্রই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে উক্ত খেলোয়াড়দের কোভিড-১৯ টিকার দুই ডোজের আওতায় আনা হবে।
২০২২ সালে এসে বাফুফে যোগাযোগ করবে। এই হতাশা কোথায় রাখি? এই তালিকাতো দেবার কথা ২০২১ সালে। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা যখন টিকা নিলেন তখনও কি তাদের ঘুম ভাঙ্গেনি? করোনা নিয়ে কতো কথা? ডেল্টা থেকে ওমিক্রন। মৃত্যু, শনাক্ত নিয়ে কতো বিশ্লেষণ। কিন্তু ২০২২ সালে এসে টিকার অভাবে জাতীয় দলের বিদেশ সফর বাতিল। এ মেনে নেয়া যায় না যে কোনভাবেই।
Posted ২:৪৯ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২২
ajkerograbani.com | shalauddin Razzak
.
.
Archive Calendar