
| বুধবার, ০৩ মার্চ ২০২১ | প্রিন্ট
মঙ্গলবার বিকেলে ময়মনসিংহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাফিজ আল আসাদের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন রুমা। তিনি জামালপুর সদর উপজেলার আড়ালিয়া গ্রামের ইব্রাহিমের মেয়ে। এর আগে, সোমবার ভোরে রুমাকে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে ময়মনসিংহ জেলা ডিবি পুলিশ।
জানা গেছে, প্রায় ছয় বছর আগে রুমার সঙ্গে সাইফুল ইসলামের বিয়ে হয়। তিন বছর আগে স্বামী সাইফুল ইসলাম ও শিশুকন্যা সূচীকে ফেলে জামালপুর থেকে বগুড়ায় চলে যান রুমা। এরপর থেকে বগুড়া সদরের ঘুন্টিমোড় এলাকায় থাকেন। অন্যদিকে বাবা সাইফুলের কাছেই বড় হচ্ছিল সূচী।
এক মাস আগে হঠাৎ বগুড়া থেকে জামালপুরে এসে কাউকে না বলে দাদির কাছ থেকে সূচীকে নিয়ে বগুড়ায় চলে যান রুমা। কিন্তু বাবাকে ছেড়ে বগুড়ায় থাকতে চায় না সূচী। সবসময় চাইতো যার কাছে বড় হয়েছে সেই বাবার আদর পেতে। ফিরতে চাইতো বাবার কাছে। এতে মায়ের হাতে মারধরের শিকার হতে হয়।
পাঁচদিন আগে ফের মারধর করলে মাথায় গুরুতর আঘাত পায় সূচী। পরে বগুড়া হাসপাতালে ভর্তি করলে পরদিন মারা যায় শিশুটি। এরপর বাসে লাশ নিয়ে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় একটি মসজিদের পাশে ফেলে পালিয়ে যান মা রুমা।
ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ৯টার দিকে মুক্তাগাছার পাড়াটুঙ্গী রহিমা জান্নাতুল জামে মসজিদের পাশ থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন তার পরিচয় পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ২৭ ফেব্রুয়ারি থানায় মামলা করেন শিশুটির বাবা সাইফুল ইসলাম। পরে এসপির নির্দেশে মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। এরপর অভিযান চালিয়ে রুমাকে গ্রেফতার করা হয়।
Posted ৮:২২ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৩ মার্চ ২০২১
ajkerograbani.com | shalauddin Razzak
.
.
Archive Calendar