অনলাইন ডেস্ক | ২৫ মে ২০১৭ | ১২:৪৯ পূর্বাহ্ণ
রাজধানীর বনানীতে ধর্ষণের শিকার এক তরুণীকে বাসা ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছেন তার বাড়ির মালিক। অজুহাত হিসেবে বাড়ির মালিক বলছেন, ঘটনাটি জানাজানির পর পুলিশ ও সংবাদকর্মীরা বাসার সামনে ভিড় করছেন। এটা তার জন্য ‘অস্বস্তিকর’। ওই তরুণী এ তথ্য জানিয়েছেন।
ধর্ষণের ঘটনার পরবর্তীতে ঐ দুই ছাত্রীকে কয়েকবার রেইনট্রি হোটেলে আমন্ত্রণ জানানো হয়। হোটেলে আসতে না চাইলে তাদের ভিডিও ফুটেজ ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। ধর্ষণের সময় হোটেলের ৭০১ ও ৭০২ নম্বর কক্ষের বাথরুমের দরজায় ফলস গ্লাস লাগানো রয়েছে। বাহিরে থেকে বাথরুমের ভিতরে কিছু দেখা না গেলেও ভিতর থেকে সবই দেখা যায়। বাথরুম থেকে গাড়ি চালক বিল্লাল হোসেন তার মোবাইল ফোন দিয়ে ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করে। এই ভিডিও ফুটেজ ঐ দুই ছাত্রীকে ফেরত দেওয়ার নাম করে ঘটনার এক সপ্তাহ পর বনানীর পিকাসো রেস্টুরেন্টে তারা মিলিত হন।
সেখানে সাফাত ভিডিও ফুটেজ ফেরত দেওয়ার শর্ত হিসাবে আরো একবার তারা মিলিত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিন্তু ঐ দুই ছাত্রী তার শর্ত মেনে না নিয়ে সেখান থেকে চলে যান।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ রাতে রাজধানীর বনানীর ‘দ্য রেইনট্রি’ হোটেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী। এরপর বেরিয়ে আসে, সেই রাতে আরও দুই তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়। ওই ঘটনায় গত ৬ মে আপন জুয়েলার্সের অন্যতম কর্ণধার দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ ও ই-মেকার্স ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের পরিচালক নাঈম আশরাফ ওরফে হাসান আবদুল হালিমসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন এক ছাত্রী।