আরাফাত শাহরিয়ার | ১২ জুলাই ২০১৮ | ১:০৭ অপরাহ্ণ
বিশ্বকাপ ফুটবল এলেই দেশজুড়ে শুরু হয় ভিনদেশি পতাকা ওড়ানোর অসুস্থ্য প্রতিযোগিতা। জমি ও ফসল বিক্রি করেও বিশাল সাইজের বিদেশি পতাকা বানাচ্ছেন কেউ কেউ! এসব পতাকার ভিড়ে উধাও রক্তের দামে কেনা লাল-সবুজের পতাকা। আমাদের প্রাণের পতাকা কোথাও চোখে পড়লেও তা বিদেশি পতাকার তুলনায় একেবারেই ছোট। বিশ্বকাপের সময় বিশ্বের আর কোনো দেশে ভিনদেশি পতাকা টাঙ্গানোর প্রতিযোগিতা হয়, এটা আমার জানা নেই। এটি বাংলাদেশি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জাজনক।
বিদেশি পতাকা টানাতে হলে সরকারের অনুমতি নিতে হবে। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার সঙ্গে অন্য কোনাে দেশের পতাকা টানাতে হলে তা সমান হতে হবে। আইনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পতাকার ওপরে অন্য কোনো পতাকা ওড়ানো যাবে না। একই খুঁটিতে দুটি পতাকা টানানোও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
বিশ্বকাপ নিয়ে উন্মাদনা থাকবেই। তাই বলে উন্মাদ হওয়া যাবে না। কোনো দলকে সমর্থন করলেই সেই দেশের পতাকা টাঙ্গাতে হবে, এটা কোন রীতি! জাতীয় পতাকা একটি রাষ্ট্রের পরিচয়, জাতীয়তা, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বে ও মর্যাদার প্রতীক। বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে দেশে ভিনদেশি পতাকা টাঙ্গিয়ে আমরা কি সেই মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করছি না?