আসিফ হাসান কাজল; মাগুরা প্রতিনিধি: | ১৭ জুলাই ২০১৭ | ৪:৪১ অপরাহ্ণ
আসিফ হাসান কাজল-বয়স ৬৫ বছরের এক রিকশা চালক আরোহী কে টেনে চলেছেন ভরা রৌদ্রময় দুপুরে। চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলাম, বয়স্ক মানুসটি দোকানে আসলেন পানি খেতে। কথা বললাম।
নাম জাফর খা। বয়স ৬৫ বছর। নিজ স্ত্রী সালেহা কে নিয়ে থাকেন মাগুরা শহরের ইসালামপুর পাড়ায়।
২ ছেলে ২ মেয়ের পিতা ঘাম মুছতে মুছতে বলছিলেন কথা গুলো। বললেন ২ মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। বড় ছেলে আছাদুল খা (২০) ও ছোট ছেলে ফয়সাল খা (১৮) কে নিয়ে এক বাড়িতেই থাকেন। কিন্তু সংসারে সবাই আলাদা যার যার রোজগারে তার তার মত চলে খাওয়া।
বড় ছেলে রিকশা চালায়, কেমন রিকশা জানতে চাওয়া হলে বললেন ইঞ্জিন চালিত রিকশা। ছোট ছেলে কাজ করে পানির লাইনে। আপনি চালান পা চালিত রিকশা আর আপনার ছেলে চালায় অটো রিকশা!
আজ থেকে পিছনের ৪৫ বছর আগে গেলেও জাফর খা রিকশাই চালাতেন,এখন ও চালাচ্ছেন।
এই ব্যাপারে অভিযোগ তেমন নেই তার,স্ত্রী সালেহা (৫৫) নিয়ে জীবনের শেষ দিন গুলি কেমন কাটবে তা নিয়ে আছে তার সংশয়,দিনে কত রোজগার হয় এমন প্রশ্নে তিনি চুপ থেকে বললেন ১০০/১৫০/২০০।
অথচ তার বড় ছেলে যে কিনা ইঞ্জিনের রিকশা চালান তার কাছে রোজগারের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন ৫০০-৭০০ টাকা হয়, নিজের পিতা যে পায়ে চালিত রিকশা চালান খারাপ লাগে না? উত্তরে আছাদুল খা জানায়, খারাপ তো লাগেই আমার ও মাত্র দের মাসের এক ছেলে সংসার আছে, খরচ ও বেড়ে গিয়েছে কি আর করব।
সমাজে অনেক বিত্তবান মানুস ই আছেন যাদের কাছে একটি রিকশা কিনে দেওয়া খুব ই সামান্য, জাফর খা আশা প্রকাশ করেন কেউ বা কোন সংগঠন যদি আমাকে একটি রিকশা কিনে দিত হইত সামনের দিন গুলি ২ বুড়া বুড়ির জন্য খুব ভাল হত।
কেউ যদি তাকে সাহায্য করতে চান যোগাযোগ করুন – প্রতিবেদক আসিফ হাসান কাজল, মোবাইল নম্বর – ০১৭১৩ ৪০৩৮৩৯।