অনলাইন ডেস্ক | ৩১ আগস্ট ২০১৭ | ৮:৪২ অপরাহ্ণ
চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার জাকিয়া সুলতানা রূপার মরদেহ যাচ্ছে তার পারিবারিক কবরস্থানে। বেওয়ারিশ হিসেবে দাফনের চারদিন পর এ নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিকালে টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম গোলাম কিবরিয়া এ আদেশ দেন।
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে মরদেহ চেয়ে মধুপুর থানায় আবেদন করা হলে পুলিশ সে আবেদন আদালতে পাঠায়। বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মরদেহ কবর থেকে তুলে রূপার পরিবারের কাছে হস্তান্তরের আদেশ দেন। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রহিম সুজনের উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
গেলো শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাতে শিক্ষক নিববন্ধন পরীক্ষা দিয়ে বগুড়া থেকে ছোঁয়া পরিবহনের একটি বাসে করে সিরাজগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ যাচ্ছিলেন রূপা। পরে তার মরদেহ ওইদিন রাত ১১টার দিকে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের পাশে মধুপুর উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকায় যায়। মরদেহে হত্যা ও ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়।
পরে পুলিশ একটি মামলা করে। অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয় এতে। ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার (২৬ আগস্ট) বিকালে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে বেওয়ারিশ হিসেবে তাকে দাফন করা হয়।
এরপর সোমবার (২৮ আগস্ট) রাতে মধুপুর থানায় গিয়ে ছবি দেখে রূপাকে শনাক্ত করে তার পরিবার।
পরে তরুণীর পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়। একইসঙ্গে মরদেহ হস্তান্তরের আবেদন করেন।