এম এ রউফ খান | ০২ জুন ২০১৭ | ৬:২৬ অপরাহ্ণ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধীভুক্ত অনার্স-মাস্টার্স কোর্সে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সংশ্লিস্ট কলেজ থেকে রেগুলেশন ১৯৯৪ ও ২০০০ অনুযায়ী শতভাগ বেতন – ভাতা দিতে হবে।নিয়ম অনুযায়ী ২ বছর পর নিজ কর্মের পর চাকুরী স্হায়ী করবে,জিবি কর্তৃক অনুমোদিত হলে তাঁরা সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক হতে পারবে।
চোর না শোনে ধর্মের কাহিনী,বহুল প্রচলিত বাক্যটি আমাদের সামনে আছে।
কর্মরত একজন শিক্ষক ২২০০০/- টাকা স্কেলে বেতন ভাতা দিতে হবে।অধিকাংশ কলেজ সে শর্তটি পূরণ করেনা।এর জন্য দূর্নীতপরায়ন অধ্যক্ষ ও কলেজ কর্তৃপক্ষ দায়ী।
একজন শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাশ করে চাকুরী নেন। যোগ্যতার প্রশ্নে তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যবেনা।সঠিক নিবন্ধনধারী শিক্ষক যোগ্যতা নিয়েই চাকুরীতে যোগদান করেন। অথচ তাঁদের শতভাগ বেতন না দিয়ে অল্পকিছু বেতন দেওয়া হয় ,যা উল্লেখ করার মত নয়।
ইনকোর্সের ফি,টার্মপেপার ফি,আইন কানুনের বালাই না রেখে নিজেদের মধ্যে বন্টন করে নিচ্ছেন। জেষ্ঠ্যতার বিধান লংঘন করে এমপিও শিক্ষকদের বিভাগীয় প্রধান করা হচ্ছে। দায়িত্ব পালনের কথা বলে অনার্স ফান্ড থেকে ইচ্ছে মত দূূর্নীতিবাজ অধ্যক্ষগন হাজার হাজার টাকা সম্মানী নেন,অথচ শিক্ষকদের বেতন দিতে পারেনা।
আমাদের কাছে এমন রিপোর্টও আছে, দূর্নীতি পরায়ন অধ্যক্ষ ও কলেজ কর্তৃপক্ষ স্কেল অনুযায়ী বেতন না দিয়ে শতভাগ বেতনের শিটে স্বাক্ষর করতে বলছেন।কোন কোন কলেজ নিয়োগের পর তিন বছর ধরে নিয়োগপত্র প্রদান করেনি,তাঁরা আইনি আশ্রয়ও নিতে পারছেনা।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র অনার্স খুলছে,অতিশীঘ্র আইনের আশ্রয় নিয়ে তা বন্ধ করা হবে।
শিক্ষক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বলা হচ্ছে শতভাগ বেতন না পেয়ে, এমন কোন জায়গায় যাতে শিক্ষকরা স্বাক্ষর না করে।
কলেজের সবাইমিলে অনার্সের আয় ব্যায় প্রদেয় বেতনের একটি চিত্র ভিসি, কলেজ পরিদর্শক,ডিসি,এডিসি শিক্ষা , জেলা শিক্ষা অফিস সহ সাংবাদিকদের অবহিত করুন,জেলা কমিটি ও কেন্দ্রীয় কমিটি আপনাদের পাশে থাকবে।
যতবড় ক্ষমতাধর ব্যক্তিই হোকনা কেন দেশবাসী সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রির কাছে এদের মুখোশ উন্মোচন করে দিন।সত্য প্রকাশে কেউ পিছপা হবেননা,এরাই দেশের শত্রুু।
চাকুরী যাওয়ার ভয় কেউ করবেনা।
এ থেকে পরিত্রানের জন্য
১) দ্রুত এমপিওর ব্যবস্হা করা হোক
২) কলেজ শিক্ষা জাতীয়করন করা হোক
৩) স্বতন্ত্র পে- স্কেল দেওয়া হোক
৪) শিক্ষকদের ওয়ারেন্ট অফ প্রেসিডেন্সি দেওয়া হোক।
এক আলাপচারিতায় শিক্ষক পরিষদ কেন্দ্রিয় সভাপতি জনাব কাজী ফারুক এবং খুলনা জেলা সভাপতি মনিরুজ্জামান মোড়ল এর কথাগুলো হুবহু তুলেধরা হলো।