লিয়াকত হোসেন লিংকন: | ১১ জুলাই ২০১৭ | ১:৩৮ অপরাহ্ণ
দীর্ঘদিন সংস্কার ও উন্নয়নমূলক কাজ না হওয়ায় কাশিয়ানী উপজেলার অধিকাংশ হাট-বাজারের বেহালদশা। ক্রেতা-বিক্রেতাদের প্রতিনিয়ত পোহাতে হচ্ছে চরম দূর্ভোগ। উপজেলার ১৬ টি হাট থেকে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা আয় হলেও হাট-বাজারগুলোর উন্নয়ন হয়নি।
সরেজমিনে কাশিয়ানী সদর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ড্রেনেজ ব্যবস্থা অত্যন্ত লাজুক। সামান্য একটু বৃষ্টিতে বাজারের মধ্যে গলিতে পানি জমে রয়েছে। পানি-কাঁদা মাড়িয়ে লোকজন চলাচল করছে।
এদিকে, উপজেলার বৃহত্তম বাণিজ্যিক কেন্দ্র রামদিয়া বাজার থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় হলেও জনসাধারণের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নেই। বাজারের ড্রেনেজ ব্যবস্থা অত্যন্ত করুণ।
দীর্ঘদিন বাজারের ড্রেন পরিস্কার না করায় বর্জ্য জমে সামান্য একটু বৃষ্টি হলে ড্রেনের পঁচা পানি উপচে দূর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। এমনকি দোকানের ভিতর ঢুকে পড়ে পানি। বর্ষা মৌসুমে ক্রেতা-বিক্রেতা ও অন্যান্য ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি চরমে পৌছায়।
এ ছাড়া বাজারের গলিপথগুলো সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির সময় হাটে আগত লোকদের দাঁড়ানোর নেই কোন ছাউনী। চান্দিনাগুলো দখল করে রেখেছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। বাজারের বিভিন্ন সড়ক দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন মালামাল রেখে দখল করে রেখেছে। রাস্তা জুড়ে কেউ তেলের ব্যারেল, আবার কোথাও রাখা আছে দোকানের মালপত্র, ইটের গাদা, লাকড়ি ইত্যাদি।
প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার বাজারের মধ্যগলিতে হাট বসায় যানবাহন চলাচল বিঘ্ন ঘটছে। হাটের দিন সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাজারের অধিকাংশ ব্যস্ততম সড়ক জুড়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা শাকসবজি, তরকারি, মাছ, ফল, খেলনা, পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের পসরা বিক্রির জন্য সাজিয়ে বসেছে। আবার অনেকে নিজেদের পছন্দের জায়গায় ঝুপরি টাঙিয়ে দখল করে স্থায়ীভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ঐতিহ্যবাহী এ বাজারটি আজ নানা সমস্যায় জর্জরিত হলেও সমাধানের কোন উদ্যোগ নেই।
বাজারের ব্যবসায়ী বদরুল আলম জানান, ‘নিয়মিত ড্রেন পরিস্কার না করায় ময়লাযুক্ত পানি জমে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, এতে আমাদের দোকানদারী করতে কষ্ট হচ্ছে।’
বেথুড়ী ইউনিয়ন সহকারী কর্মকর্তা (ভূমি) এম, এম রকিব হোসেন বলেন, ‘ড্রেনের প্রকট গন্ধে আমরা অফিসে বসে ঠিকমতো কাজকর্ম করতে পারছি না।’
কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ, এস, এম মাঈনউদ্দিন বলেন, ‘হাট-বাজার উন্নয়নে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’