অগ্রবাণী ডেস্ক | ২৯ জুন ২০১৭ | ১০:০৬ পূর্বাহ্ণ
ঈদ এবার বেশ নির্বিঘ্নেই কাটিয়েছে দেশবাসী। তাই, এবারের ঈদুল ফিতরের চিত্র ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। দুর্ভোগের অভিযোগ খুব একটা শোনা যায়নি। এদিকে ঈদের ছুটি শেষে গতকাল বুধবার খুলেছে অফিস-আদালত। ঈদে জনস্রোত যেদিকে ছিল, এখন সেটা উল্টো পথে। মানুষ ফিরে আসতে শুরু করেছে কর্মস্থলে। কিন্তু রাজধানীর সড়কগুলো সেই ছুটির দিনগুলোর মতোই ফাঁকা। মানুষজনও তেমন নেই। ব্যস্ত শহর ঢাকার নেই আগের সেই রূপ। নেই কোলাহল, যানজট।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবার নিকট অতীত ইতিহাসের সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক ঈদযাত্রা হয়েছে বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, এবারের ঈদযাত্রা নিকট অতীতের ইতিহাসে সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক যাত্রা এবং গত কয়েক বছরের মধ্যে এবারই রাস্তাঘাট সড়ক-মহাসড়ক তুলনামূলক ছিল ভালো। রেলযাত্রাও ছিল ভালো। নৌপথ ছিল স্বস্তিদায়ক। সেতুমন্ত্রী বলেন, ঈদের সময় চার ঘণ্টায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়া কল্পনাও করা যায় না। গতবারের তুলনায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের হারও ছিল অনেক কম।
প্রায় একই কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, এবার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক ভালো ছিল। র্যাব, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা সবাই তৎপর ছিল। মার্কেটগুলোতে মানুষ স্বচ্ছন্দে কেনাকাটা করেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহায়তা করেছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। আমাদের কাছে গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য ছিল। সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। ফলে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
ছুটির আমেজেই রাজধানী
তিন দিনের ঈদের ছুটির পর দুই দিন (গতকাল বুধবার ও আজ বৃহস্পতিবার) কর্মদিবস রয়েছে। প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে গতকাল প্রথম দিনে উপস্থিতি ছিল তুলানামূলকভাবে কম। গতকাল দিনের প্রথম ভাগে বিভিন্ন দপ্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়, কোলাকুলি আর খোশগল্পেই সময় পার করতে দেখা গেছে। রাজধানীতে যাত্রীর মতো বাসের সংখ্যাও ছিল কম। তারপরও স্বাভাবিকের চেয়ে কম সময় লাগছে গন্তব্যে পৌঁছতে। তবে বসুন্ধরা শপিং মল এবং যমুনা শপিং মলে সিনেমা হল খোলা থাকায় সেগুলোর একটি করে ফটক খোলা রয়েছে। রাজধানীর পোশাক কারখানাগুলোর বেশির ভাগই এখনও বন্ধ।
৮০ লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়েছে
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধারণা এবারের ঈদে রাজধানী ছেড়ে গ্রামে গেছে প্রায় ৮০ লাখ মানুষ। রাজধানীর প্রায় ১৫ থেকে ২০ লাখ ঘরবাড়ি এখন ফাঁকা। রাজধানীর নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মহানগর পুলিশের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, রমজান শুরুর পর থেকে যানজট নিয়ে ছিল বেশি অভিযোগ। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তেমন কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। মানুষ নির্বিঘ্নেই কেনাকাটা করেছে। ঈদের ছুটির মধ্যে বড় ধরনের কোনো অপরাধ সংঘটিত হয়নি।