অনলাইন ডেস্ক | ০২ জুন ২০১৭ | ১:৩২ অপরাহ্ণ
পশুর পর এবার পাখি। বিতর্কের নতুন বিষয় ময়ূরের মিলন প্রক্রিয়া। যার সূত্রপাত হয়েছে গরুর মাধ্যমেই। গরুকে জাতীয় পশু ঘোষণা করার সুপারিশ করতে গিয়ে ময়ূরের মিলনের প্রসঙ্গ তুলে আনেন ভারতের রাজস্থান হাইকোর্টের বিচারপতি মহেশচন্দ্র শর্মা। তাঁর মতে, আজীবন ব্রহ্মচারী থাকে ভারতের জাতীয় পাখিট। তাহলে প্রজনন কেমন করে হয়? মহেশচন্দ্রের বক্তব্য অনুযায়ী, ময়ূরের চোখের পানি পান করেই নাকি গর্ভবতী হয় ময়ূরী।
রাজস্থান হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে এটিই ছিল মহেশচন্দ্রের শেষ মামলা। নিজের অন্তিম এজলাসে তিনি কেন্দ্রকে পরামর্শ দেন, গরুকে জাতীয় পশু হিসেবে ঘোষণা করুক কেন্দ্র ও গরু হত্যায় দোষী সাব্যস্তদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হোক। এখানেই ক্ষান্ত হননি তিনি। আদালতের বাইরেও এ নিয়ে সোচ্চার হন।
গরুর মাহাত্ম্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তুলে আনেন ময়ূরের সঙ্গমের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, সারা জীবন ব্রহ্মচারী থাকে ময়ূর। তার চোখের পানির মাধ্যমেই সন্তানের জন্ম দেয় ময়ূরী। ভগবান শ্রীকৃষ্ণও ময়ূরের পালক মাথায় ধারণ করেছিলেন। আর গোমাতার গায়ে ঠেস দিয়ে বাঁশি বাজাতেন তিনি।
বিচারপতি মহেশচন্দ্রের এই ময়ূর-নিষেকের তত্ত্ব প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। রাজস্থান হাইকোর্টের বিচারপতির মন্তব্য নিয়ে মশকরা করতেও ছাড়েননি অনেকে।