অনলাইন ডেস্ক | ২৭ মার্চ ২০১৭ | ৮:১০ অপরাহ্ণ
স্বজনদের চোখে জল আর বিউগলের করুণ সুরের মধ্য দিয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম সোহেল। সিলেটে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের সময় নিহত মনিরুলকে আজ সোমবার সকালে নোয়াখালী সদরের পূর্ব এওজবালিয়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
একদল সশস্ত্র পুলিশ সদস্য রাষ্ট্রীয় সালামের মধ্য দিয়ে শেষ বিদায় জানান মনিরুলকে। এ সময় বাজানো হয় বিউগলের করুণ সুর। জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. ইলিয়াছ শরীফ, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নবজ্যোতি খীসা, বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহ্জাহান শেখ, চাটখিল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আবদুল আল-মাসুমসহ পুলিশের কর্মকর্তারা এ সময় নিহত মনিরুল ইসলামের প্রতি সালাম জানান। এরপর স্থানীয় মান্নানগর মডেল একাডেমি মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।
এর আগে বাড়ি থেকে মনিরুলের লাশ বের করে আনার পথে ভাইয়ের কফিনের আশপাশে তিন বোন ও ভাইদের বুক ফাটা আর্তনাদে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। এ সময় সেখানে উপস্থিত আত্মীয়স্বজনসহ পরিচিতজনদের নীরবে চোখের জল ফেলতে দেখা যায়।
মনিরুলের ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমার এই মাছুম ভাতিজা ও ভাবির কী হবে? আমার ভাইয়ের স্বপ্ন ছিল এই ভাতিজাকে (১৭ মাস বয়সী) ডাক্তার বানানোর। এখন আমার ভাইয়ের সেই স্বপ্ন কে পূরণ করবে? কী হবে আমার ভাইয়ের স্ত্রী-সন্তানের। আমরা এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তা চাই।’
মনিরুলের বড় ভাই মো. সোহাগ বলেন, ‘আমার ভাইয়ের এই মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার নয়। কিন্তু এরপরও মেনে নিতে হচ্ছে এই ভেবে আমার ভাই স্বাধীনতা দিবসের রাতে মারা গেছে। দেশের জন্য আত্মাহুতি দিয়েছে। আমার ভাইয়ের আত্মাহুতির মধ্য দিয়ে হলেও এই দেশ জঙ্গিমুক্ত হোক। আমরা আমার ভাইয়ের এই মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’