| ০৩ মার্চ ২০২১ | ১:১৪ অপরাহ্ণ
করোনায় ভিসা বন্ধ ভারতের, তাই খরচ যা করার তা করতে হচ্ছে দেশের মধ্যেই। আর এটিই স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের জন্য হয়েছে শাপে বর হয়েছে। বাজার আরো চাঙা করতে মাস দুয়েক পর স্বর্ণের দাম এক দফা কমিয়ে জুয়েলার্স সমিতি বলছে, পাশের দেশে গহনা কিনতে লাগে না ভ্যাট তাই মৌসুম এলেই ধুম পড়ে ভারত যাওয়ার। যদিও উল্টো মত অর্থনীতিবিদদের। দেশের বাজারে স্বর্ণের যৌক্তিক দাম নির্ধারণ এবং তা মনিটরিংয়েও বিশাল ঘাটতি দেখছেন তারা।
যে কোনো উৎসব, কিংবা পালা পার্বন, নারী সৌন্দর্যের অনেকটাই প্রকাশ পায় গহনার ভাঁজে ভাঁজে। দেশে এমন এক রীতির চলন যুগ-যুগান্তর ধরে।
আর তাই বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে বেশ সরগরম থাকার কথা স্বর্ণের বাজার তবে গত কয়েক বছর ধরে তা অপরিচিত ব্যবসায়ীদের কাছে।
নেপথ্যের কাহিনী জানার আগে, মানচিত্রের রেখা আর খরচের অঙ্কে দেখে আসা যাক কিছু হিসাবনিকাশ। দেশের দক্ষিণের জেলা যশোর থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরের ঢাকায় আসতে কমবেশি হাজারখানেক টাকা খরচ হয়। কিন্তু যশোর হয়ে এ অঞ্চলের কোনো মানুষ কলকাতা যেতে চাইলে খরচ পড়ে মাত্র দেড়শ’ টাকা। দেশের বাজারে স্বর্ণ ভ্যাট মোট দামের ৫ শতাংশ কিন্তু কলকাতায় তা শূন্য। ঠিক এ কারণেই কম দামে গহনা কিনতে সীমানা পাড়ি দেন ক্রেতারা। যদিও করোনার কারণে এ বছর উল্টো দিকেই ফিরেছে গহনার রথ।
সময় সংবাদকে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সভাপতি এনামুল হক খান বলেন, আমরা এ ব্যবসায় যতটা রিকভারি করতে পেরেছি তার মূল কারণ ভারতের ভিসা বন্ধ থাকায় দেশের মানুষ নিজ জায়গা থেকে স্বর্ণ কিনেছেন। ভারতে স্বর্ণ কিনতে গেলে ভ্যাট লাগে না অপর দিকে আমার দিতে হয়। এটা একটা ভয়ংকর ক্ষতির কারণ। ধনী শ্রেণির মানুষ উপহারসামগ্রী ছাড়া স্বর্ণ কিনেন না।
তবে জুয়েলার্স সমিতির এ বক্তব্যে পুরোপুরি একমত নন অর্থনীতিবিদরা। বরং দেশের বাজারে দাম নির্ধারণ আর নিয়ন্ত্রণ নিয়েই অসন্তোষ তাদের।
অর্থনীতিবিদ ড. মাসরুর রিয়াজ বলেন, করোনা পরবর্তী যে কঠির অর্থনীতির যে বাস্তবতা তার মধ্যেও যে স্বর্ণের দাম বেড়ে যাওয়াটা অস্বাভাবিক মনে হতেই পারে। বাজার দর কিভাবে নির্ধারিত হবে তার একটা ম্যাকানিজম এবং সেটার একটা মনিটরিং এই ব্যবস্থাটা বেশ অভাব আছে।
মাস দুয়েক পর আরেক দফায় দেড় হাজার টাকা কমিয়ে বুধবার (০৩ মার্চ) থেকেই দেশের বাজারে ২২ ক্যারেট স্বর্ণ ৭১ হাজার ১৫০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।