মোঃ মনিরুজ্জামান, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি | ০৫ জুন ২০১৭ | ৮:২৪ অপরাহ্ণ
মজুরীর টাকা আদায়ে নোয়াখালীর এক গৃহকর্তার বাড়ি থেকে তারই শিশু পুত্রকে অপহরণ করে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে আনার ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাবাসী শিশু অপহরণের বিষয়টি আঁচ করতে পেরে পুলিশকে জানালেও কোন ভুমিকা নেয়নি পুলিশ। পাওনা টাকা আদায়ে চার বছরের শিশু অপহরণের ঘটনায় এলাকার চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভূরুঙ্গামারী উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের উত্তর ছাট গোপালপুর গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে নবীবুর রহমান (৩৩) নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার সপ্তগা গ্রামের নাজিম উদ্দিন মজুমদারের বাড়িতে দীর্ঘদিন থেকে দিন মজুরের কাজ করে আসছিল। মজুরী বাবদ প্রায় ৭০ হাজার টাকা পাওনা ছিল। টাকা দিতে বিলম্ব হওয়ায় নবীবুর গত শুক্রবার নাজিম মজুমদারের শিশুপুত্র তাসিমকে (৪) অপহরণ করে ভূরুঙ্গামারীতে নিয়ে আসে। শনিবার সকালে শিশুটিকে বাড়িতে আনলে স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এলাকাবাসী তাকে জিজ্ঞেস করলে সে পাওনা টাকা তুলতে শিশুটিকে নিয়ে এসেছে বলে জানায়। স্থানীয়রা বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করে। পরে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম ইয়াসিন ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহিন মিয়ার মধ্যস্থতায় শিশুটির পিতাকে ডেকে আনা হয়। শনিবার রাতে নবীবুর লিখিতভাবে পাওনা ৭০ হাজার টাকা বুঝে নিয়ে শিশুটিকে নাজিম মজুমদারকে ফেরত দেয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহিন মিয়া জানান, গ্রাম্য সালিশে শিশুটিকে তার পিতার নিকট হস্থান্তর করা হয়েছে।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম ইয়াসিন জানান, দীর্ঘদিনের মজুরীর টাকা না পেয়ে শিশুটিকে নিয়ে এসেছে নবীবুর। এ কথা সে স্বীকার করেছে। তবে শিশুটির পিতা কোন অভিযোগ করতে চাননি।
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাপস চন্দ্র পন্ডিত জানান, বিষয়টি জেনেছি, ভাইস চেয়ারম্যান বলেছিল শিশুটির পিতা আসবে এ কারণে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। কোন লিখিত অভিযোগও পাইনি।