
ডেস্ক | বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ ২০২০ | প্রিন্ট
মধু শব্দটা শুনলেই হয়তো আপনার জিভে পানি চলে আসবে। ভাল্লুকদের ক্ষেত্রেও কিন্তু ব্যাপারটা একই। একবার মধুর গন্ধ পেলে আর ধরে রাখার জো নেই তাদের। মানুষ আর ভাল্লুকের মধুর স্বাদও নাকি অনেকটা একই। আর তাই মধু চুরি করতে এসে চাকরি পেয়ে গেল এক ভাল্লুক।
মধুর জন্য আমরা যেমন মায়ের রান্নাঘরে গিয়ে খুঁজি, ঠিক তেমই মধুর লোভে তারাও হামলা চালায় মৌচাকে। মৌচাককে ভাল্লুকের হাত থেকে বাঁচাতে তাই পানি ব্যবহার করে ফাঁদ পেতে রাখেন মধু ব্যবসায়ীরা। কিন্তু তুরস্কের ইব্রাহিম সেডেফ বেছে নিয়েছেন অভিনব পদ্ধতি। মধু চুরি করতে আসা এক ভাল্লুককে তিনি চাকরি দিলেন। সেই ভাল্লুক এখন মধুর কোয়ালিটি চেক করে।
ভাল্লুকের উত্পাতে অনেক সময়ই ব্যবসায়ীদের মধুর ব্যবসা লাটে ওঠে। কিন্তু ইব্রাহিম সেই ভাল্লুককে নিজের সহকর্মী করলেন। এদিকে মধুর স্বাদ পরীক্ষা করার সুযোগে ভাল্লুকেরও হয়ে যায় মধু খাওয়া। আবার তার পছন্দের ধরনেই বোঝা যায় মানুষের সঙ্গে মিল ঠিক কতটা! চেখে দেখার জন্য তিন-চার রকমের মধু তার সামনে রাখলেই সে বেছে নেয় আঞ্জের মধু। আর মোটামুটি আমরা সবাই জানি, আঞ্জের মধুর স্বাদ কেমন! ভাল্লুকের এই মধু-বিলাসের চরিত্র দেখেই ইব্রাহিম তাকে কাজে লাগিয়ে নিলেন মধুর স্বাদের পরীক্ষক হিসাবে।
সেফেড-এর ফার্মে নতুন কর্মচারী এখন ভাল্লুক। এই অভিনব এবং মানুষ ও ভাল্লুকের যৌথ ব্যবসার কথা শুনলে যেন মনে হয় রূপকথার মতো।
Posted ৩:৫৫ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ ২০২০
ajkerograbani.com | shalauddin Razzak
.
.
Archive Calendar