অগ্রবাণী ডেস্ক | ০৭ মার্চ ২০১৭ | ৩:২১ অপরাহ্ণ
পৃথিবীতে অন্যতম বিরক্তির একটি প্রাণি মশা। ক্ষুদ্র হলেও এ প্রাণির যন্ত্রনায় অস্থির থাকে অন্য প্রাণিকূল। আপনি ফল-মূল, মাছ-মাংস খেয়ে শরীরে রক্ত তৈরি করছেন, আর মশা এসে সেই রক্ত নিজের জন্য তৈরি খাবার মনে করে খেয়ে যাচ্ছে! আবার খেতে না দিলে কানের কাছে এসে বিরক্তিকর গান শুনিয়ে আপনার ব্রহ্মতালু গরম করছে। শুধু যন্ত্রনা দেওয়া বা রক্ত পান করাই নয়, এই ক্ষুদ্র প্রাণিটি ছড়ায় মারাত্মক সব জীবনঘাতি রোগ। এই রোগগুলোকে মশাবাহিত রোগ বলা হয়ে থাকে।
চলুন কী কী মশাবাহিত রোগ হতে পারে সে সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নিই-
জিকা
সম্প্রতি কালে এই রোগের নাম প্রায় সবারই মুখে মুখে। এই রোগটি অন্য সবার জন্য আতঙ্কের কারণ না হলেও এটি গর্ভবতী মা ও শিশুদের মারাত্মক ক্ষতিসাধন করে ফেলে। ভাইরাস বাহিত এই রোগটি এডিস মশার মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। তবে আমাদের দেশে এখনো জিকা ভাইরাসের কোনো রোগী পাওয়া যায়নি।
ডেঙ্গু
আমাদের দেশে ডেঙ্গু খুবই পরিচিত একটি রোগ। এটিও স্ত্রী এডিস মশার মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। জিকার মতো এটিও একটি ভাইরাস জনিত রোগ যা মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এর ফলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
ম্যালেরিয়া
বর্তমানে এই রোগটি ভয়াবহ রুপ ধারন করলেও এক সময় এই রোগ মহামারি আকারে দেখা দিত এবং হাজার হাজার মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করতো। আমাদের দেশের পাহাড়ি অঞ্চলে এটি হয়ে থাকে। স্ত্রী এনোফিলিস মশা এই রোগ ছড়ায়।
ফাইলেরিয়া বা গোদ রোগ
এই রোগটি কিউলেক্স মশার কামড়ে হয়ে থাকে। এটি হলে শরীরের চামড়ার নিচের অংশের টিস্যুগুলো শক্ত হয়ে ফুলে যেতে থাকে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। হাত, পা, বাহু, জননাঙ্গ ইত্যাদি এই রোগে আক্রান্ত হয়।
ইয়োলো ফিভার
এই রোগটির লক্ষণগুলো জণ্ডিসের মত। এটি একটি মশাবাহিত রোগ। এই রোগ হলে সারা শরীর হলুদ রঙের হয়ে যায় এবং জ্বর থাকে। আফ্রিকান দেশগুলোতে এই রোগ হয়ে থাকে। তাই আফ্রিকার কোন দেশে ভ্রমনের আগে এই রোগের ভ্যাকসিন নিতে হয়।
এছাড়া চিকুনগুনিয়া, ওয়েস্ট নাইল, লা ক্রস এন্সেফালাইটিস, রিফ্ট ভ্যালী ফিভার, জেমস্টাওন ক্যানিয়ন ভাইরাস, স্নো শু হেয়ার ভাইরাস ইত্যাদি রোগও মশার কারণে হয়ে থাকে।