অনলাইন ডেস্ক | ০৮ এপ্রিল ২০১৭ | ১২:৩৭ অপরাহ্ণ
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দিল্লির রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শনিবার সকালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে শনিবার সকালে ভারতের নয়া দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেখানে তাকে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানান। এর মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার সফরের আনুষ্ঠানিক পর্ব শুরু হলো।
এর আগে টুইটে মোদি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনি বৈঠকে বসবেন। সেখানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক আরো গভীর করার বিষয়ে আলোচনা হবে।
শ্রদ্ধা জানানোর পর হায়দরাবাদ হাউসে গিয়ে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনা একান্তে আলোচনা করবেন। ওই আলাপচারিতা শেষ করে দুই প্রধানমন্ত্রী বসবেন শীর্ষ বৈঠকে। বৈঠকের পর দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে প্রতিরক্ষা, ঋণ, মহাকাশ, পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, তথ্যপ্রযুক্তি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে অন্তত ৩০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে।
এর আগে শুক্রবার বেলা ১টার দিকে দিল্লিতে পালাম স্টেশন বিমানবন্দরে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে প্রটোকল ভেঙে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে স্বাগত জানান।
শনিবার বিকেলে মহান মু্ক্তিযুদ্ধে শহীদ ভারতীয় সেনাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মুক্তিযুদ্ধে নিহত ৭ শহীদ ভারতীয় সেনা পরিবারকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননাপত্র প্রদান করবেন। এ অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীও উপস্থিত থাকবেন।
অনুষ্ঠানের পরের পর্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র হিন্দি সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন করা হবে। বাংলা থেকে আত্মজীবনীর হিন্দি অনুবাদ করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দুপুরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছেন নরেন্দ্র মোদি। বিকেলে শেখ হাসিনা দিল্লি সেনানিবাসের মানেকশ সেন্টারে মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গ করা ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সাত সদস্যের পরিবারের হাতে মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা তুলে দেবেন। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেবেন নরেন্দ্র মোদি। রাতে তিনি ভারতের উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারির সঙ্গে তাঁর বাসভবনে দেখা করতে যাবেন।
এবারের সফরে বহুল প্রতীক্ষিত তিস্তা চুক্তি সই হচ্ছে না। এটি মেনে নিয়েই চুক্তিটা ভারত কবে সই করছে, তার সুনির্দিষ্ট সময়সীমা জানতে চাইবে বাংলাদেশ।