আসিফ হাসান কাজল- | ১৪ আগস্ট ২০১৭ | ৫:৩৪ অপরাহ্ণ
আলোকদিয়া অমরেশপুর ডিগ্রী কলেজে সম্প্রতি ক্লার্ক নিয়োগের পরীক্ষায় কোন মৌখিক পরীক্ষা বাদেই চলছে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তুতি। মাগুরা সার্কিট হাউজে এই নিয়োগ পরীক্ষা হবার কথা থাকলেও পরবর্তীতে মাগুরা আদর্শ ডিগ্রী কলেজে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অমরেশ বসু ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোস্তফা ফারুক আহমেদ অত্যন্ত সুকৌশলে সকল পরীক্ষার্থীদেরকে ডিসি অফিসে ডেকে নিয়ে আসেন। এক পর্যায়ে সোফায় বসে তিনি নিয়োগের খাতা দেখা শুরু করেন। বিষয়টি পরে জেলা প্রসাশক মহোদয় এর নজরে এলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়।
এই ব্যাপারে মাগুরা -১ আসনের সাংসদ আব্দুল ওহহাব এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোস্তফা ফারুক অফিসে বসে অনৈতিক ভাবে খাতা দেখছিল। এই নিয়োগে অধ্যক্ষের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
এমন ত্রুটিপূর্ণ নিয়োগ কি বাতিল করা হবে এই প্রশ্নে আব্দুল ওহহাব বলেন, আজ ৫ ঘটিকায় এই সংক্রান্ত মিটিং আছে তার পর জানানো যাবে।
উক্ত কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সাথে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি বলেন এই নিয়োগের ব্যাপারে আমাদের কে কিছুই জানানো হয়নি।
এর পরেই অমরেশ বসু ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোস্তফা ফারুক আহম্মেদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই অভিযোগের পরিপেক্ষিতে বলেন, স্যার আমাকে ডেকেছিলেন আমি ও সরকারী কলেজের এক জন অনুমতি নিয়েই ওখানে গিয়েছিলাম। তাকে জেলা প্রসাশক এর কক্ষ থেকে বহিস্কার এর ব্যাপারে প্রশ্ন করতেই তিনি রেগে গিয়ে বলেন, আমাকে এমপি সাহেবের মুখোমুখি করান। আমরাও সাংবাদিকতা করি। কিসের সাংবাদিক আপনি? জবাবে এই উত্তর দিয়েছেন। বলেছেন আমাকে মোটেও কক্ষ থেকে বহিস্কার করা হয়নি।
মাননীয় এমপি মহোদয়কি আমাকে মিথ্যা কথা বললেন? তাকে এই প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন মিথ্যা কথা না বলবেন অসত্য কথা! পরে বলেন আমার কলেজের সভাপতি এমপি মাগুরা-১। মনে রাখবেন যা কিছু হচ্ছে সব তার নির্দেশেই। তাকে কলেজ পরিচালনা পর্ষদ কে এই নিয়োগের ব্যাপারে জানানো হয়েছে কিনা এই প্রশ্নে তিনি চুপ থেকে বলেন নিয়োগ কমিটির সিদ্ধান্তের পরিপেক্ষিতে সব করা হচ্ছে।
পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায় সরকারী কলেজে এই নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা হবার কথা থাকলেও সেখানেও এই পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এই খবরের সত্যতা যাচাই করতে মাগুরা জেলা প্রশাসক আতিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কলেজ অধ্যক্ষ আমার কক্ষে অবস্থান করছিলেন, আমি আমার কক্ষ থেকে কিছুক্ষনের জন্য বাইরে যেয়ে ফিরে আসি দেখি উনি আমার কক্ষের মধ্যে নিয়োগের খাতা দেখতে শুরু করেছেন। পরবর্তীতে আমি আমার কক্ষ থেকে তাকে বহিস্কার করে দিয়েছিলাম।