আসিফ হাসান কাজলঃ | ০৪ অক্টোবর ২০১৭ | ৫:১১ অপরাহ্ণ
মাগুরা জেলার সদরে পৌরসভার মধ্যে সাতদোয়া- পারলা সড়কে নিম্নমানের ইট দিয়ে চলছিল সরকারী রাস্তার নির্মান কাজ। অভিযোগ এমন উঠেছিল যে পৌরসভার প্রকৌশলী, ঠিকাদার দের সম্মুখেই চলছিল নিম্ন মানের ইট খোয়া দিয়ে সড়কের এ কাজ। বিষয়টি মাগুরা জেলা প্রশাসক মহোদয় এর নজরে পড়লেই তিনি মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবু সুফিয়ান কে বিষয় টি জরুরী ভিত্তিতে পরিদর্শন ও রিপোর্ট করার নির্দেশ প্রদান করেন।
এই সংবাদ গত অক্টোবর ৩ তারিখে দৈনিক আজকের অগ্রবাণী তে প্রকাশিত হয়।
অবশেষে মাগুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সুফিয়ানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ও নির্বাহী গুনে সেই রাস্তার নিম্ন মানের ইটের তৈরী খোয়া সরিয়ে আজ ১নং ইটের খোয়া রাস্তায় দেওয়া হয়েছে। এই কাজে এলাকার সাধারন জনগন প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
রাস্তার কাজে নতুনকরে পূণরায় ইটের ১ নং খোয়া ব্যাবোহার প্রসঙ্গে এলাকার স্থানীয় আব্দুল গফুর (৫০) বলেন, এই ধরনের কাজে সাধারন জনগনের জয় হয়েছে। এছাড়াও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যে কাজটি পৌরসভার প্রকৌশলীদের তদারকি করার কথা ছিল অথচ কাজ টি উনারা দেখভাল না করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দেখতে হলো যা অত্যন্ত দুঃখজনক! আব্দুল গফুর কাজের নির্দেশক মাগুরা জেলা প্রশাসক মহোদয় কে আন্তরিক ধন্যবাদ প্রদান করেন।
রাস্তার এমন কাজ আপনাদেরই দেখভাল করার কথা সেখানে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ এর প্রসঙ্গে কি বলবেন?
এই উত্তরে মাগুরা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে আমাদের বিভিন্ন প্রজেক্ট চলমান তাই কাজের প্রচন্ড চাপ রয়েছে। এছাড়াও দরপত্রে কোথাও কিন্তু লেখা নাই যে রাস্তায় ২৪ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। তবু আমার মন্তব্য দেশের কাজে জনগন এগিয়ে এসেছে যা অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ ও অনুকরনীয়।
এই কাজ কি এটা প্রমান করে না যে আপনাদের তদারকিতে ত্রুটি রয়েছে বা আপনারা অসফল?
এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, উক্ত কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নিম্ন মানের খোয়া ব্যাবহারে আমরা অভিযোগ দিয়েছিলাম!কিন্তু পর্যাপ্ত সময় এর আগেই প্রশাসন এসে পড়ে ও দৃঢ় ভাবে কাজ সম্পাদন করা হয়।
উল্লেখ্য উক্ত রাস্তার কাজে ৭০ ইটের নিম্ন মানের খোয়া ব্যাবহার করা হয়েছিল।
এছাড়াও জানা যায় মাগুরা পৌরসভার সিংঘভাগ ঠিকাদারী কাজ চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের SH-M-JV নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান করছে।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায় মাগুরা সদরের জামিরুল মুন্সি এই কাজ করছেন।
এই ব্যাপারে সদর উপজেলা ইউএনও আবু সুফিয়ানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, যেকোন উন্নয়ন মূলক কাজে জেলাপ্রশাসক হস্তক্ষেপ করতে পারেন, এবং নিম্নমানের কাজ যেই করুক না কেন, এব্যাপারে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।