ডেস্ক | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯ | ১১:৫৬ পূর্বাহ্ণ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে, বাংলাদেশ অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডার বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সন ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউিএইচও) বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা প্যানেলের সদস্য সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুই সন্তানই উচ্চ শিক্ষিত।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রীর অবৈতনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের অবদানের কথা প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই বলে থাকেন। তার ভাষ্যে,‘আজকে যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছি। এই ডিজিটাল বাংলাদেশ জয়ের কাছ থেকে শেখা।
সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত। তিনি বেশ ভালো বক্তাও। বিশেষ করে পুতুল একজন প্রখ্যাত অটিজম বিশেষজ্ঞ। সারাবিশ্বেই তিনি অটিস্টিক শিশুদের অধিকার সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিশেষজ্ঞ প্যানেলের একজন সদস্য। তিনি একজন বিশেষজ্ঞ মনোবিজ্ঞানী ও বটে।
সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের শিক্ষাগত যোগ্যতা:
সায়মা ওয়াজেদ যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে মনোবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি, ২০০২ সালে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজির ওপর মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন।
এছাড়াও পুতুল ২০০৪ সালে স্কুল সাইকোলজির ওপর বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়নের ওপর গবেষণা করেন। তার গবেষণাকর্ম ফ্লোরিডার একাডেমি অব সায়েন্স কর্তৃক শ্রেষ্ঠ সায়েন্টিফিক উপস্থাপনা হিসেবে স্বীকৃত হয়।
সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ২০০৮ সাল থেকে শিশুদের অটিজম এবং স্নায়বিক জটিলতাসংক্রান্ত বিষয়ের ওপর কাজ শুরু করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই তাঁর কাজ বিশ্বজুড়ে প্রশংসা পেয়েছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পুতুলকে হু অ্যাক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করে। মনস্তত্ববিদ সায়মা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান অটিজম স্পিকস-এর পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেন। তিনি ২০১৩ সালের জুন থেকে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বিশেষজ্ঞ পরামর্শক প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মেয়েকে সুশিক্ষিত একজন নাগরিক হিসাবে গড়ে তুলেছেন। তিনি সমাজ ও রাষ্ট্রের এমন একটা সেক্টরে কাজ করেন যা নিয়ে পৃথিবীর খুব কম মানুষই সম্পৃক্ত।