| ১১ নভেম্বর ২০২০ | ৯:৫৭ অপরাহ্ণ
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও টাকা পাচারে এমপি শহিদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্তের প্রয়োজনে তাকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এমপি পাপুল ছাড়াও বর্তমান ও সাবেক ২২ জন এমপির বিরুদ্ধেও দুর্নীতির নানা অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি। এদের মধ্যে ২০ এমপিকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক খান।
কুয়েতে গ্রেপ্তার স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল ও তার স্ত্রী সেলিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়েরের পর বুধবার সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ১৪৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে শহিদ ইসলাম পাপুল ও তার স্ত্রী সেলিনা ইসলামের সঙ্গে তাদের মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।
কমিশনার মোজাম্মেল বলেন, ‘তদন্ত কর্মকর্তারা আসামিদের গ্রেপ্তার প্রয়োজন মনে করলে তাদেরকে তদন্তের স্বার্থে গ্রেপ্তার করতে পারেন। এটা একটি চলমান আইনি প্রক্রিয়া।’মামলার তদন্তে যদি প্রয়োজন মনে হয় তাহলে কুয়েতের কারাগারে থাকা এমপি পাপুলকে আন্তর্জাতিক আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা হতে পারে বলেও জানান দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক।
অনুসন্ধানে থাকা ২২ এমপির বিষয়ে দুদক কমিশনার বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সেটিও যথাসময়ে আমরা রেজাল্ট দিতে পারব।’ দুদক কমিশনার বলেন, ‘আমরা কোনো কাজে থেমে নেই। আমরা মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী চেষ্টা করি যে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদেরকে আইনের সম্মুখীন করা হবে। এই ব্যাপারে কোনো বিলম্ব হবে না। শিগগিরই তা করা হবে। তবে টাইম বলা যাবে না।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে কোনো দল-মত নেই, ব্যক্তির উর্ধ্বে আমরা কাজ করি। আইন আমাদেরকে যেভাবেই নির্দেশ করে সেভাবেই আমরা কাজ করি।’