অনলাইন ডেস্ক | ২৫ মে ২০১৭ | ১০:০২ অপরাহ্ণ
বনানী এক নামেই সবার কাছে পরিচিত। কেউ কেউ চেনে বনানীতে ধনী ব্যক্তিদের বসবাস, কেউ চেনে রাস্তা দিয়ে গেলে জিজ্ঞেস করে মামা লাগবেনি, কেউ আবার চেনে বর্তমানে বনানীতে আলোচিত ধর্ষণ ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিনের মত আজও রাস্তা দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় কাছে এসেই বলে মামা ‘লাগবেনি’। আবার কেউ কেউ চোখের দিকে চোখ পড়তেই ইশারার মাধ্যমে বুঝাচ্ছে কিছু দরকার কিনা।
ব্যবস্থা নিয়ে অবস্থান তৈরি করে বনানীর মত ব্যস্ততম সড়কে লোকালয়ে হকারদের মত হাকঢাক করে নিয়মিত খদ্দের যোগার করে বলে জানিয়েছন বেশ কয়েকজন দালাল। তারা বলেন, ‘ভাই যদি অবস্থান না থাকতো তাহলে এখানে টিকে থাকতে পারতাম না’।
আপেল নামের এক দালাল বলেন,’ অনেকে আছে মিথ্যা কথা বলে নিয়ে পরে ছিনতাই করে। আমাদের এখানে কোন সমস্যা হবে না। নিরাপত্তা নিয়ে কোন ঝামেলা নাই। যে কোন সময় আসতে পারেন।’
তিনি বলেন,’ আমাদের এখানে বিভিন্ন রেটের আছে। ভিআইপি এক হাজার হতে শুরু করে তিন হাজারের উপরেও আছে। অনেক বছর ধরেই আমি এই কাজ করি।’ মাঝে মাঝে পুলিশ অভিযান চালায় কিনা জানতে চাইলে সেলিম নামের আরেক দালাল বলেন,’ দাদা নিরাপদ আছে দেইখাই আমরা আছি। পুলিশের কোন ঝামেলা নাই। আইসেন পুলিশি কোন ঝামেলা হইবো না।‘
প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে বনানীর হেটেলগুলোতে এ ধরণের অসামাজিক কাজ চলে আসছে। এ নিয়ে অনেক সময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও বন্ধ হয়নি তাদের অনৈতিক কাজকর্ম। কোন প্রভাবশালী মহলে ছত্র ছায়ায় ঠিকে থাকছে তারা। নিকটেই পুরিশের থানা থাকলেও দেখা মেলে না তাদের প্রভাব।
আর এ ভাবেই বনানীর সাথে রাজধানীর ফার্মগেট, মিরপুর বেরিবাধঁ, টঙ্গিসহ অন্যান্য স্থানেও প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে প্রভাবশালী ছায়ার ভিতরে বাহিরে চলছে রুম ও হোটেল ভাড়া নিয়ে অনৈতিক কাজের আখড়া। এ নিয়ে এর আগে বনানী থানায় যোগাযোগ করা হলে কেউ তাদের কাছে অভিযোগ জানায়নি বলে জানিয়েছিলেন ওসি। আসা যাওয়ার পথে তাদের চোখে পড়লে তারা ব্যবস্থা নেন বলেও তিনি জানান।