শিপন শাহরিয়ার | ২৮ জানুয়ারি ২০১৮ | ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ
ক)মরহুম আবু সালেহ মিঞা মোহম্মদ মাফিজুর রহমান মিরন মিঞা-জন্মঃ ১৭ই মার্চ ১৯৬২ সাল (রোজ-শুক্রবার) -মৃত্যঃ ১২ই জানুয়ারী(২০১৮)/২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৩৯ হিজরী রোজ শুক্রবার।
(দিবাগত রাত১০ঃ৪৬মিঃ) মাত্র৫৬ বছর বয়সে ০৩ টি নাবালক সন্তান রেখে বড় বেশী অভিমান নিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে;আল্লাহ তা’আলা মরহুমের বেহেশত নসীব করুন, আমীন।
মিরন মিঞা- এক সময়ের (১৯৮০-১৯৯৫) রাজপথ কাপাঁনো লড়াকু মনোভাবের দুর্দান্ত প্রতাপশালী এক আপোষহীন ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন প্রচারবিমুখ,পিছনের কোন বাঁধা,বিপত্তি,আপত্তি অনায়াসে উপেক্ষা করে চলে গেছেন সোঁজা রাস্তায়….. ন্যায় প্রতিষ্ঠায় ন্যায্য কোন দাবী আদায়ে কখনও কোন এম,পি, নিতা, প্রশাসনের আমলাতান্ত্রিক নিয়মনীতির ধার ধারেননি । এককথায় চেক এন্ড ব্যালেন্স (Check & Balance) এর যে প্রচলিত So called half hearted ধারা সমাজে বহমান সে রকম কনফিউজিং কোন সিদ্ধান্ত বা কোন কাজ তার দ্বারা কখনও সম্ভব হয়নি। আর তাই তিনি সমাজের একটা কুচক্রি,সুবিধাবাদী,মুনাফাখোর, কপট শ্রেনীর লোকের নিকট খলনায়ক আর আপামর জনতার কাছে, খেটে খাওয়া প্রান্তিক মানুষের কাছে, তৃণমূল জনতার নিকট রাজা-ধিরাজ,- নায়ক। তাইতো ২০১১ সালে দেশব্যাপী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে- পশারগাতী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইতিহাসের সবচাইতে নির্মম ষড়যন্ত্রের যাতাঁকলে পিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতিকে চ্যালেঞ্জ করে এগিয়ে গিয়েছেন লক্ষ্যের দিকে, সামনে পিছনে হাজারো চক্রান্তের শিকার হয়ে,সেটাকে উতরিয়ে , প্রশাসনের অপরিসীম বৈষম্যের মুখে তথাকথিত দলীয় শত্রুতার জঘন্য নাগপাশ কে উপেক্ষা করে-জনতার বাধভাঙ্গা জোয়ারে
সবকিছু ভাসিয়ে দিয়ে তিনি তার যুদ্ধজাহাজ ঠিকই নোঙর করেছেন সাফল্যের বন্দরে। প্রায় দুই হাজার ভোটের ব্যবধানে প্রতিদ্বন্ধী শক্ত প্রার্থী কে ধরাশায়ী করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন-পশারগাতী ইউনিয়ন পরিষদ এর।
তার সেই জনপ্রিয়তা তিনি ক্ষমতায় গিয়ে নিঃশেষ হতে দেননি..বরং মৃত্যর আগ পর্যন্ত তিনি পশারগাতী-গোবিন্দপুর-এবং মুকসুদপুর পৌরসভা এলাকার জনগনের নিকট জনপ্রিয়তার তুঙ্গে অবস্থান করেছিলেন। গত ২০১৬ সালের ঐতিহাসিক পদ্ধতীর- ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে- ইতিহাসের আর এক অভিনব দলীয় মনোনয়ন নীতির নোংরা খেলায় তাকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বঞ্চিত করা হয়।
মুকসুদপুরের ঐতিহ্যবাহী,উচ্চবংশীয়,প্রভাবশালী,মান-সম্মানী পরিবারের শতবছরের সুনাম ক্ষুন্ন করার হীন মানসিকতায় কিছু নাম গোত্রহীন,চালচুলাহীন,হা-ভাতে পরিবারের..আজকের হিরো বানগিয়া টাইপ; টাউট লোক যে পরিকল্পনা নিয়ে কিছু কার্যকলাপ করে যাচ্ছে,তার অংশ হিসেবে এক্ষেত্রেও পরিপূর্ন চেষ্টা অব্যাহত রেখে- মিরন মিঞা কে পশারগাতীর তথা এতদঅঞ্চলের নেতৃত্ব থেকে যে কোন মূল্যে দুরে রাখার নোংরা অপচেষ্টা চরিতার্থ করার শেষ খেলাটি সম্পন্ন করেছে।
”মিরন মিঞা” ঠেকাও- বজ্রকঠিন শপথ নিয়ে ঐসব কুলাঙ্গার রা আজ সরকার দলের নাপিত বনে গিয়েছে।পাবলিক শুধু চেয়ে চেয়ে দেখচে আর সময়ের সুবর্ন সুযোগের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে….!!!
মিরন মিঞা কে ???? তার চেয়ে বড় আওয়ামী লীগার আর মুকসুদপুরে কে????
১৯৫৪ সালের পর যুক্তফন্টের নির্বাচনে কোন দালালের ছেলে, কোন জাইল্যা, কামারের ছেলে এদেশে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করার সাহস দেখিয়েছে…?? বেজড়ার ছালাম খানের সাথে এই অঞ্চলে ফাতেমা জিন্নাহ,ছালাম খান,দের নির্বাচনে নিরংকুশ প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করে ৮০% ভোট দিয়ে পাশ করিয়েছে..কারা.? কে দেবে এর উত্তর…??কালের স্বাক্ষী সেসকল মুরুব্বী’ রা কয়জন বেচেঁ আছে আজ ?
গ)
বঙ্গবন্ধু তার জীবাদ্দশায় পশারগাতী মিঞাবাড়ী কতবার; আমন্ত্রণ পেয়ে, কখনও না পেয়ে সরাসরি অতিথি হয়ে এসেছেন..??আপ্যায়িত হয়েছেন..!!! সেসময়ে মুকুসদপর থানা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কে ছিলেন…??? পশারগাতী-টেংরাখোলা অভিবক্ত পরিষদের একটানা প্রেসিডেন্ট পরে চেয়ারম্যান (৬৮ বছর) সেই শ্রদ্ধেয় চাঁন মিঞা, লাল মিঞা দের নাম কি ভুলে গেছে..এ দেশের মানূষ..???. আজ এসকল জাতীয় পার্টির দালাল রা..যারা সব দল করে ইতিহাসে কুখ্যাত হয়ে এখন. আওয়ামীলীগের নিতা…????
ঘ)
তাদের কে কে বোঝাবে, যে পশারগাতী মিঞাবাড়ীর দয়া দক্ষিনা ছাড়া তাদের বাড়ীর ভাত কারো পেটে না পড়লে এদেশে কোন নিতা হওয়া যায়না….(!!!) এদেশে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বঙ্গবন্ধু কে মুকুসুদপুরে কারা এনেছে, কার কার বাড়ী তে সে খেয়েছে…?? কে জানে..? আর জানলে কে বলবে কার কাছে…??? এসকল হাইব্রীড, ভুইফোঁড় অতি আওয়ামীলীগার দের কে বলতে চাই , তোমরা তৈরি থেকো, বাদঁরের হাতে মুক্তার মালা কোনদিন মানায় না, আর সেটা বেশি দিন হাতে থাকতে ও পারবেনা. সেদিন বেশী দুরে নয়, যেদিন সত্যিকারের মু্ক্তীযোদ্ধারা,বঙ্গবন্ধুর সৈনিকেরা আসল আওয়ামীলীগের লোকেরা সম্মানীত হবে, আওয়ামীলীগের লোক রা ই নৌকার মাঝি হবে. আওয়ামী- লীগের কান্ডারী হবে,,, তোমরা ধদ্বংস হবে..নিঃচিহ্ন হবে…কারন, ভূয়া,চোর,বাটপার রা, হাইব্রীড রা চীরস্থায়ী হতে পারেনা….এটা হাদীছ কুরআনের কথা।
ঙ)
গোপালগজ্ঞ যখন মহকুমা (রাজনৈতিক জেলা)…তখন কে ঐ জেলার আমৃত্য সভাপতি…???? বঙ্গবন্ধুর ঘনীষ্ট সহচর তারই শ্রদ্ধেয় “ রাজা মামা”…কে?? (রাজা মিঞা মোক্তার- কে..??) কে বেজড়া ‘র আব্দুর রাজ্জাক খাঁন (রাজা মিঞা)…..?? এদের বাদ দিলে,আর ঝুটিগ্রামের খায়ের সাব, কমলাপুরের ধলা মিয়া, আর মনিরকান্দির কাজী রশীদ কে বাদ দিলে এদেশে এত বড় . আওয়ামীলীগার..কে..?? তাকে দেখতে চাই…???
চ)
বড় বেশি অসময়ে মিরন মিঞার এই প্রস্থান, হয়তো দরকার ছিলো…??
এই নষ্ট সময়ে এই নোংরা পরিবেশ বড় বেশি দুর্বিসহ হয়ে উঠেছিলো তার বেঁচে থাকার জন্য। তাইতো আল্লাহ রব্বুল আলামীন রবিউল আউয়াল মাসের এই পবিত্র শুক্রবারে কোন রকম কষ্ট বেদনার লেশমাত্র ভোগ না করে হাসিমুখে চলে গেছেন তিনি না ফেরার দেশে। পাপ পঙ্কিলতাময় এই পৃথিবীর নোংরা আবহাওয়া আর পুথীগন্ধময় সময়ের জটিলতা আর তাকে স্পর্শ করবে না কখনও তবে কুকর্ম আর মানুষের হক নষ্ট করে যারা সম্পদের পাহাড় গড়েছেন, সাবধান!!!! আসছে সময়.. আসছে তেড়ে..দাতাল বুনো শুয়োরের দল, প্রচন্ড আঘাতে সব লন্ডভন্ড করে দিতে শীঘ্রই, সাবধাণ, জানোয়ারের দল, আঘাত অনিবার্য(!!)