অনলাইন ডেস্ক | ১৫ জানুয়ারি ২০১৮ | ৭:৫৩ অপরাহ্ণ
শাকিব খানকে ছাড়াই শেষ হলো শাকিব খান-অপু বিশ্বাসের বিচ্ছেদের প্রথম দিনের শুনানি। আজ সোমবার বেলা ১২টার দিকে শুরু হয় এই শুনানি। এদিন সকাল থেকেই ডিএনসিসি’র সালিশে অপু উপস্থিত থাকলেও সাড়া মেলেনি শাকিবের। তিনি এখন দেশের বাইরে আছেন বলে জানা গেছে।
শাকিব খান না থাকায় সালিশের নতুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে ১২ ফেব্রুয়ারি। এদিন সালিশে অপু বিশ্বাস বলেন, শাকিবের জন্য ধর্ম ত্যাগ করেছি। এখন আমার একটি সন্তান আছে। আমি বিচ্ছেদ চাই না। অন্যের কানকথায় শাকিব আমাকে ভুল বুঝছে। ভেবেছিলাম আজ তাকে পেলে কথা বলতে পারলে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু তা হলো না।
অন্যদিকে শাকিব এদিন শুনানিতে হাজির না হলেও নিজের মতামত জানিয়েছেন গণমাধ্যমকে। শাকিব গণমাধ্যমকে বলেন, আমার যা বলার আগেই বলেছি। এখন এগুলো নিয়ে ভাবার সময় আমার নেই। বিষয়টি আইনি পর্যায়ে চলে গেছে। এখন আমার আইনজীবী যা করার করবেন।
প্রথম দিনের শুনানিতে এমন পরিস্থিতি ভক্তদের আশার ভেলাকে ডুবিয়ে দিয়েছে। শাকিব-অপুর ভক্তদের আশা ছিল, মনোমালিন্য যাই হোক না কেন, দুজনে মুখোমুখি হলে হয়ত অনেক সমস্যাই সমাধান হয়ে যাবে। অবসান হবে ভুল বোঝাবুঝির। অন্তত, সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে তারা ফের এক হয়ে যাবেন। তবে তেমন কোন আশার আলোই এদিন দেখা যায়নি।
এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর শাকিব ও অপুর কাছে শুনানিতে হাজির হবার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়। সিটি করপোরেশনের পারিবারিক আদালত সূত্রে জানা যায়, কোনো পক্ষ তালাকের আবেদন করলে আদালতের কাজ হচ্ছে ৯০ দিনের মধ্যে উভয়কে ৩ বার ডেকে সমঝোতার চেষ্টা করা। সমঝোতা না হলে স্বাভাবিকভাবেই তালাক কার্যকর হয়ে যাবে।
বিবাহ বিচ্ছেদের কাগজে গত ২২ নভেম্বর সাক্ষর করেন শাকিব খান। বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদনে সাক্ষী হিসেবে সাক্ষর করেছেন মোহাম্মাদ আলী ও আতাউর রহমান। শাকিব খানের আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম জানান, গত ২২ নভেম্বর শাকিব খান তার চেম্বারে গিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদের কাগজে সাক্ষর করেন। শাকিবের পক্ষ থেকে ওই দিনই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়রের কার্যালয়, অপু বিশ্বাসের ঢাকার নিকেতনের বাসা এবং বগুড়ার ঠিকানায় ওই তালাকের নোটিশ পাঠানো হয়।
এই তালাক কার্যকর হবে নোটিশ পাঠানোর তারিখ থেকে তিন মাস পর। বিয়ের দেনমোহর বাবদ ৭ লাখ টাকা অপুকে পরিশোধ করবেন শাকিব। এছাড়া তিনি একমাত্র সন্তান আব্রাম খান জয়ের ভরণ-পোষণের যাবতীয় খরচসহ দায়দায়িত্ব নিজে বহন করবেন।