অনলাইন ডেস্ক | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ১২:৪৩ অপরাহ্ণ
রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর নির্যাতন ও নিপীড়নের প্রতিবাদে মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতির ওয়েবসাইট (http://www.president-office.gov.mm) হ্যাক করেছে বাংলাদেশি ইথিকাল হ্যাকিং গ্রুপ- সাইবার ৭১। একইসঙ্গে হ্যাক করা হয়েছে দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয় (http://www.moi.gov.mm), কেন্দ্রীয় ব্যাংক (http://www.cbm.gov.mm), প্রভাবশালী কোম্পানি এম কে গ্রুপের অফিসিয়াল (http://www.mkgroup.com.mm/aboutus.php) ওয়েবসাইট।
মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার হ্যাকারদের সঙ্গে একজোট হয়ে এসব ওয়েবসাইট হ্যাক করে সাইবার ৭১। কোন ওয়েবসাইট সাটডাউন করে দেওয়া হয়, কোনটি দখলে নিয়ে বিশেষ বার্তা দেওয়া হয়। বুধবার এম কে গ্রুপের ওয়েবসাইটটি হ্যাক করার পর সাইবার-৭১ ফেসবুকে একটি পোস্টে জানায়, তারা লঙ্ঘন করেছিলো আমাদের আকাশ সীমা, আমরা লঙ্ঘন করলাম তাদের সাইবার স্পেসের সীমা। মায়ানমার কেন্দ্রীয় ব্যাংক, প্রেসিডেন্ট অফিশিয়াল, তথ্য মন্ত্রণালয়, কোম্পানি, মিডিয়ার ওয়েবসাইট আক্রান্ত… খেলা চলছে, চলবে।
এম কে গ্রুপের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টায় ঢুকলে দেখা যায় ইংরেজিতে লেখা রয়েছে সাইবার ৭১ এর দেওয়া বার্তা। [Hacked By Cyber-71 Every day Muslims of Myanmar got killed by Myanmar Goverment.as well as the isolation and destruction of their property and their homes and mosques, government just watching like the spectator ,watching the heinous massacres escalating day toward the Muslim minority in the country ..And this is a clear message to the government of Myanmar,
Stop killing Muslims , or we we will hack your website every day !
Stop killing Muslims , or we we will hack your website every day !
Stop killing Muslims , or we we will hack your website every day !
#OpMyanmar – www.facebook.com/Cyber71Official
যার অর্থ করলে দাঁড়ায়, ”ওয়েবসাইটটি সাইবার ৭১ এর দখলে। প্রতিদিন মিয়ানমারের মুসলিমরা দেশটির সরকারের হাতে প্রাণ হারাচ্ছে। তাদের সম্পদ, ঘরবাড়ি, মসজিদ ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে, সরকার শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে। দেশটির মুসলিম সংখ্যালঘুর ওপর চালানো এই নির্মম গণহত্যা ও ধ্বংসলীলায় সরকার যেন নীরব দর্শক… এবং এই হ্যাকিং সরকারের উদ্দেশে একটি পরিস্কার বার্তা যে, মুসলিম হত্যা বন্ধ কর, নাহলে আমর তোমাদের ওয়েবসাইট প্রতিদিন হ্যাক করবো।
প্রঙ্গত, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ২৫ আগস্ট দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর জঙ্গি হামলায় মিয়ানমারের ১১ জন পুলিশ নিহত হওয়ার পর দেশটির সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করে। সেনা অভিযানে কমপক্ষে চার শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত হওয়ার পর আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পক্ষ এটাকে গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করছে। রাখাইন রাজ্য থেকে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। তারা অভিযোগ করছেন, মিয়ানমারের সেনা অভিযানে রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ এবং বাড়িঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে।