নিজস্ব প্রতিবেদক: | ৩০ জুলাই ২০১৭ | ২:০০ অপরাহ্ণ
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের অধিবাসী মুক্তিযোদ্ধা আঃ জলিল। পিতা মৃত-গেন্দু মাল্যা। ছয় ভাই বোনের মধ্যে সেঝ তিনি। নিতান্ত এক গরীব চাষির ছেলে। জমি জমা সামান্যই ছিল গেন্দু মোল্যার। কখনো নিজের ক্ষেতে কখনো অন্যের জমিতে কামলার কাজ করে চলতে হতো তাকে। ছয় সন্তানের অন্য যোগাতে প্রতিদিনই জীবন শেষ করতে হতো তার। সন্তানের লেখাপড়াতো দুরের কথা, কল্পনা করাই ছিলো অকল্পনীয়।
১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাকে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিলেন গেন্দু মাল্যার দুই ছেলে পাচু মোল্যা ও আঃ জলিল মোল্য। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হলেও জীবন যুদ্ধে পরাজিত হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ জলিল মোল্য।
যুদ্ধের পর আঃ জলিল মোল্যা বিয়ে করলেন। তাদের অভাবের ঘরে জন্ম হলো পাঁচটি ছেলে মেয়ের। অভাবের সংসারে ছেলে মেয়েদের তেমন লেখাপড়া করাতে পারেননি। তবে সেঝ ছেলে জামাল মোল্যাকে ৮ম শ্রণি পর্যন্ত পড়িয়েছেন। সে এবার নোয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৈশপ্রহরী কাম দপ্তরী পদে চাকুরীর আবেদন করেছে। চাকুরিটা তার পরিবারের জন্য একান্ত প্রয়োজন।
গত শনিবার আঃ জলিল মোল্যাকে দেখা গেল জয়নগর হাটের কাঠালহাটায়। একটি কাঠাল হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন বিক্রির আশায়। কুশল বিনীময় শেষে ছেলেটা চাকুরীর আবেদন করেছে বলে জানালেন। সঙ্গে সবার দোয়া চাইলেন ছেলের চাকরির ব্যাপারে। বললেন মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়েছি, এবার জীবন যুদ্ধে বিজয়ী হতে চাই। ছেলের চাকরি হলে সংসারের অভাব দূর হবে। এ ব্যপারে তিনি গোপালগঞ্জ-১ আসনের উন্নয়নের রূপকার মুহাম্মদ ফারুক খান এমপির সু দৃষ্টি কামনা করেন।