বিশেষ প্রতিনিধি : | ১৯ জুলাই ২০১৭ | ৭:১৮ অপরাহ্ণ
যৌতুকলোভী স্বামী কামরুজ্জামান লাভলু’র নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে জুলেখা আক্তার জুলি (৩৮) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাটি মুন্সীগঞ্জ জেলার দেওভোগ গ্রামে ৭ ডিসেম্বর ২০১৬ ইং তারিখে ঘটলেও এখনও আসামিরা গ্রেফতার হননি।
জানা গেছে, স্বামী কামরুজ্জামান লাভলু ও স্ত্রী জুলেখা আক্তার জুলি সম্পর্কে ফুপাত ভাই- বোন। ফলে লাভলু খুব কৌশলে প্রেমের জালে ফেলে কাবিন রেজিস্ট্রি না করে জোরপূর্বক ৮ বছর আগে বিয়ে করেন। এরপর ঘর সংসার করতে থাকেন। এমনবস্থায় স্ত্রী জুলেখার গর্ভে এক পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেণ। তার নাম জিদান আল মায়িম(পুস্প) তার বয়স ৬ বছর। এই ৮ বছরের ঘর সংসারে জুলেখা সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে যৌতুকলোভী ও নেশাখোর স্বামীর নির্যাতন সহ্য করেছেন। এবং নির্যাতনকারী স্বামীর দাবি কৃত যৌতুকের ১০ লাখ টাকা দেন। এরপরও জুলেখা শশুর বাড়ী ও স্বামীর মন পাননি।
একের পর এক শশুর বাড়ীর লোকজনসহ স্বামী জুলেখার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। স্বামী নেশাগ্রস্থ হওয়ার কারণে যৌতুকের ১০ লাখ টাকাও বেশি দিন হাতে রাখতে পারেনি। পরে আবার স্বামী কামরুজ্জামান লাভলু যৌতুক দাবি করলে স্ত্রী জুলেখা উক্ত দাবি মিটাতে না পারায় ফের জুলেখার ওপর বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালায় এবং আত্মহত্যা প্ররোচনা দেন। পরে জুলেখা হতাসায় আত্মহত্যা করেণ।
এ বিষয়ে থানায় মামলা করতে গেলেও থানা মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। পরে মুন্সীগঞ্জ আদালতে মামলা করা হয়। যার নং ৫২/১৬ তারিখ ০৮/১২/২০১৬ইং। বর্তমানে জুলেখার আত্মিয় স্বজন আসামীদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এ বিষয়ে জুলেখার পরিবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেয়ার বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন।