অনলাইন ডেস্ক | ৩০ অক্টোবর ২০১৭ | ৩:৫৯ অপরাহ্ণ
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কক্সবাজার মহেশখালীর মৃত মৌলভি আবদুল মজিদকে (৮৫) পলাতক দেখানোয় সংশ্লিষ্ট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরুল হককে তলব করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আগামী ২৬ নভেম্বর এসআইকে সশরীরে হাজির হতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) ও মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
আজ সোমবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত, প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম।
এর আগে গত বছরের ৮ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কক্সবাজার মহেশখালীর বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রশিদ মিয়াসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে তদন্ত সংস্থা। ওই দিনই তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউটর কার্যালয়ে দাখিল করা হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, নারী নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, ধর্মান্তর, দেশান্তর করাসহ মানবতাবিরোধী ১৩টি অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন মৌলভি জকরিয়া শিকদার (৭৮), মো. রশিদ মিয়া বিএ (৮৩), অলি আহমদ (৫৮), মো. জালাল উদ্দিন (৬৩), মৌলভি নুরুল ইসলাম (৬১), মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাবুল (৬৩), মমতাজ আহম্মদ (৬০), হাবিবুর রহমান (৭০), মৌলভি আমজাদ আলী (৭০), বাদশা মিয়া (৭৩), ওসমান গণি (৬১), আবদুল শুক্কুর (৬৫), মৌলভি সামসুদ্দোহা (৮২), মো. জাকারিয়া (৫৮), মো. জিন্নাহ ওরফে জিন্নাত আলী (৫৮), মৌলভী জালাল (৭৫) ও আবদুল আজিজ (৬৮)।
তাঁদের মধ্যে সালামত উল্লাহ খানসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সানাউল হক বলেন, ট্রাইব্যুনালে যত মামলা এসেছে, তার মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় মামলা।