অনলাইন ডেস্ক | ০৯ জুন ২০১৭ | ১০:২৯ অপরাহ্ণ
এমন নারকীয় ঘটনা ভারত কেন গোটা বিশ্বের কাছেই বিস্ময়কর এবং নিন্দনীয়। ‘সভ্য’ দেশের এমন বর্বর আচরণের নজির গোটা ভূখণ্ডে খুব কমই আছে। ৫ কেজি সোনা পাওয়ার লোভে নিজের ১৫ বছরের মেয়েকে ‘বলিদান’ দিল খোদ বাবা-মা। মেয়েকে খুন করতে স্বঘোষিত ওঝার হাতে তুলে দিল উত্তরপ্রদেশের সোনা ব্যবসায়ী এবং তার স্ত্রী। বাবা মায়ের সামনেই খুন হল মেয়ে, তারপর ‘ধর্মাচারণের দোহাই’ দিয়ে স্বঘোষিত ওঝা ধর্ষণ করল ১৫ বছর বয়সী কিশোরীর মৃত দেহকে। সেই দৃশ্য নিজের চোখেই দেখল বাবা-মা।
ব্যবসা ডুবে যাচ্ছে। অর্থের সঙ্কট বাড়ছে। কোনও পথ না পেয়ে এক স্বঘোষিত ওঝা’র কথায় মেয়েকে ‘বলিদান’ দিল বাবা-মা। নিজেরাই মৃত দেহ তুলে দিল ধর্ষণের জন্য। মেয়েকে বলিদান দিলেই ৫ কেজি সোনা পাওয়া যাবে, স্রেফ এই লোভেই উত্তরপ্রদেশের সোনা ব্যবসায়ী মহাবীর প্রসাদ (৫৫) এবং তার স্ত্রী পুষ্পা (৫০) নিজেদের মেয়ে কবিতার (১৫) বলিদান দিলেন। পেশায় ড্রাইভার, কৃষ্ণ শর্মা যিনি নিজেকে ‘ওঝা’ বলেন, তার কথাতেই ঘটল এমন নারকীয় কাণ্ড। প্রথমে খুন, তারপর বাবা-মায়ের সামনেই মেয়ের মৃতদেহ থেকে জামা কাপড় খুলে নারকীয় নির্যাতন চালালো পেশায় ড্রাইভার তথা স্বঘোষিত ওঝা কৃষ্ণ শর্মা। এরপর যখন সোনা তো দূর, একটা পয়সাও আসেনি মহাবীর প্রসাদের কাছে, তখন গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে থানায় অভিযোগ করেন তিনি। উত্তরপ্রদেশের কনৌজের এই ঘটনার কথা প্রথম প্রকাশিত হয় ‘হিন্দুস্তান টাইমস’ পত্রিকায়। এরপরই তদন্তে নামে পুলিস, গ্রেফতার করা হয় কৃষ্ণ শর্মাকে।