অগ্রবাণী ডেস্ক: | ২৩ জুন ২০১৭ | ১২:৪৫ অপরাহ্ণ
গ্রীষ্মের গরমে স্কুলের পোশাক পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছিল ছাত্ররা। তারা চেয়েছিল এ সময়টা ফুলপ্যান্ট বদলে হাফপ্যান্ট পরে স্কুলে আসতে। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি মানেনি। অতঃপর প্রতিবাদ জানাতে মেয়েদের স্কার্ট পরে স্কুলে হাজির হয় পাঁচ ছাত্র। তাদের দেখাদেখি আরও অন্তত ৫০ ছাত্র একই সিদ্ধান্ত নেয়। এ ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিম শহর ডেভনের এক্সেটারের আইএসসিএ একাডেমি স্কুলে।
স্কুলছাত্রদের যুক্তিও অবশ্য অকাট্য। ওই স্কুলছাত্রদের বক্তব্য- মেয়েরা যদি শর্ট স্কার্ট পরে স্কুলে আসার অনুমতি পায়, তবে ছেলেদের কেন হাফপ্যান্ট পরে আসার অনুমতি দেয়া হবে না। এমনকি স্কুলের ম্যাডামরা স্যান্ডেল ও আরামদায়ক টপস পরে আসছেন, আর ছাত্রদের পরতে হচ্ছে ফুলপ্যান্ট ও সু। একটু বড় ছাত্রদের ব্লেজার পরে আসতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে প্রতিবাদে অংশগ্রহণকারী একজন ছাত্র জানায়, ”আমাদের হাফপ্যান্ট পরার অনুমতি নাই। এই গরমে সারাদিন ফুলপ্যান্ট পরা তো সম্ভব না। বিষয়টি জানাতে গেলে, প্রধান শিক্ষক বলেন, এমন করলে সেই ছাত্রকে নির্জন কক্ষে আটকে রাখা হবে। তবে ইচ্ছা করলে আমরা স্কার্ট পরে নাকি আসতে পারি। সেক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষের আপত্তি নেই।”
ছাত্রদের মতে, এ প্রতিবাদের ফলে তাদের দাবি বিবেচনায় আনা হবে এবং স্কুল পোশাকে পরিবর্তন আসবে।
আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থীর মা বলেন, তার ১৪ বছরের ছেলেটি গরমের ব্যাপারে বলতে প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়েছিল। তিনি বলেছেন, হাফপ্যান্ট পরে আসলে তাকে নির্জন কক্ষে আটকে রাখা হবে।
ডেভন লাইভ সংবাদ মাধ্যমে ওই মা বলেন, শিশুরা অবিচার মানতে পারে না। যেখানে স্কুলের শিক্ষিকারা স্যান্ডেল ও আরামদায়ক শার্ট বা টপস পরে আসছেন, সেখানে অল্প বয়স্ক ছেলেদের ফুলপ্যান্ট, সু, ব্লেজার পরে আসতে হচ্ছে। তাদের কাছে এটা অন্যায় মনে হয়েছে।
তিনি বলেন, স্কার্ট পরে একটা ছাত্র শুধু বিপাকে পড়েছিল। কারণ স্কার্টটি বেশি ছোট হয়ে গিয়েছিল। তবে তারা যে প্রতিবাদ করেছে এটাই বেশি। বয়স যাই হোক না কেন প্রত্যেকের নিজস্ব চিন্তাশক্তি ও বাক প্রকাশের অধিকার থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন ওই মা।
এদিকে এ প্রসঙ্গে ডেভন লাইভ সংবাদ মাধ্যমে স্কুলের প্রধান শিক্ষক এমি মিচেল বলেন, ”হাফপ্যান্ট স্কুল পোষাকের অন্তর্ভুক্ত না। আমি হঠাৎ করে এটা বদলাতে পারি না। এটা পরিবর্তন করতে হলে স্কুলের শিক্ষর্থী, অভিভাবক ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে পরামর্শ করে করতে হবে।”
এসময় তিনি আরও বলেন, ”আমরা স্বীকার করি যে গত কয়েক দিন অত্যন্ত গরম। আমরা ছেলে-মেয়ে উভয় শিক্ষার্থীদের আরামদায়ক পরিবেশে রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।” সূত্র: এনডিটিভি।