অনলাইন ডেস্ক | ২৫ অক্টোবর ২০১৭ | ৫:৪২ অপরাহ্ণ
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে এক মাদরাসা ছাত্রীর লাশ নানার বাড়িতে ফেলে পালিয়েছে পাষণ্ড বাবা। আজ বুধবার সকালে কামতাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই ছাত্রীর নাম আখি আক্তার (১৩)। সিদ্দিরগঞ্জ সানারপাড় এলাকার ভাড়া বাড়িতে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। লাশ নিয়ে বিভ্রান্তে পড়ে বন্দর থানার পুলিশ। বন্দর ও সিদ্দিরগঞ্জ দুই থানার লাশ নিয়ে টানাটানির মধ্যে জেলা পুলিশের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের নির্দেশে সিদ্দিরগঞ্জ থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত ছাত্রীর মামা মাসুম মিয়া জানান, সিদ্দিরগঞ্জ থানার দক্ষিণ সানারপাড় আনু মিয়ার বাড়িতে ভগ্নিপতি আলমগীর ওরফে আলম ভাগনি আখি আক্তার ও ভাগিনা মামুনকে নিয়ে ভাড়া থাকেন। ওই ভাড়া বাড়িতে থেকে ভাগিনা-ভাগনি দুইজনই মাদরাসা পড়ে। বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ভগ্নিপতি আলম টেক্সিক্যাব দিয়ে ভাগনি আখির লাশ বাড়িতে নিয়ে আসে। এসময় স্ট্রোক করে মারা গেছে বলে লাশ রেখে সে চলে যায়। পরে নিরুপায় থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। সে আত্মহত্যা করে মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশের ধারনা। পরে পুলিশ ভাগিনা মামুন পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মামুন পুলিশকে জানিয়েছে, আজ সকালে নাস্তা আনতে বাহির হই। নাস্তা এনে ঘরে দেখতে পাই আখি আক্তার ঘরের ফ্যানের রডের সঙ্গে ঝুলে রয়েছে। এরপর তার বাবাকে ফোন করি। তার বাবা বাড়িতে এসে লাশ নামিয়ে নানার বাড়িতে লাশ নিয়ে আসে।
নিহত মাদরাসাছাত্রী আখি আক্তারের পিতা আলমগীর ওরফে আলম বলেন, সকালবেলা মাদরাসায় না যাওয়ার জন্য মেয়ে বায়না ধরে। এসময় মাদরাসা যাওয়ার জন্য চড়ধাপ্পর ও গালাগালি করে কাজে বাহির হই। পরে ছেলে মামুন ফোন করে জানায় আখি ওড়না দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে। কোনো উপায় খুজে না পেয়ে লাশ শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে আসি। লাশ রেখে দাফন কাফনের জন্য টাকা ম্যানেজ করতে আসতে হচ্ছে।
কামতাল তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ ইনপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সিদ্দিরগঞ্জ দক্ষিণ সানারপাড় এলাকায় ভাড়া বাড়িতে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী আখি গলায় ওড়না দিয়ে ফ্যানের ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করে । পরে কামতাল নানার বাড়িতে মেয়ের লাশ ফেলে রেখে পিতা পালিয়ে যায়। সিদ্দিরগঞ্জ থানা পুলিশের মাধ্যমে লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ মর্গে প্রেরন করা হয়।