অনলাইন ডেস্ক | ২৪ আগস্ট ২০১৭ | ৯:০৭ অপরাহ্ণ
কোন কারণই খুঁজে পাচ্ছেন না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু মৌলভীবাজারে আত্মহত্যার মিছিল লম্বা হয়েই চলেছে। সেই মিছিলে বৃহস্পতিবার যোগ হলো আরেকটি নাম। ঝিমাই চা বাগানের শ্রমিক অলক চাষা (২২) গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এনিয়ে গেলো দুই বছরে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া, বড়লেখা এবং জুড়ী থানায় ফাঁসিতে এবং বিষপানে ৯০ জন আত্মহত্যা করেছেন।
জানা যায়, জুলাই-২০১৫ থেকে জুন-২০১৭ পর্যন্ত কুলাউড়া, বড়লেখা এবং জুড়ী থানায় ফাঁসিতে এবং বিষপানে ৯০ জন আত্মহত্যা করেছেন।
এর মধ্যে চা-বাগানগুলোতে করেছেন ১৯ জন। কুলাউড়া থানায় আত্মহত্যা করেছেন ২৮ জন। বড়লেখা থানায় আত্মহত্যা করেছেন ২৪ জন, জুড়ীতে আত্মহত্যা করেছেন ২৫ জন। শুধুমাত্র ফুলতলা চা বাগানেই আত্মহত্যা করেছেন ৩ জন।
এ জেলায় আত্মহত্যার সংখ্যা অনেক বেশি বলে মনে করছেন মনোবিজ্ঞানীরা।
কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মনোবিজ্ঞানী সৌম্য প্রদীপ ভট্টাচার্য্য জানালেন, সামজিক অস্থিরতা আত্মহত্যার প্রধান কারণ। এছাড়া পারিবারিক বন্ধনের অভাব, মাদক, হতাশা, পারস্পরিক সহমর্মিতার অভাব এবং দুঃখ ও হতাশা প্রকাশের সুযোগ না পেয়ে মানুষ আত্মহত্যা করে।
এদিকে, আত্মহত্যা প্রতিরোধে চা বাগান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ইমামদেরকে নিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) আবু ইউছুফ।
মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু ইউছুফ আরটিভি অনলাইনকে বলেন, গেলো ৬ মাসে ১০-১২টি আত্মহত্যার ঘটনাস্থলে গিয়েছি। কিন্তু একটিরও যথাযথ কারণ খুজে পাইনি।
তিনি বলেন, কুলাউড়া সার্কেলের আওতাধীন কুলাউড়া, বড়লেখা ও জুড়ী থানার সব জামে মসজিদের ইমমাদেরকে চিঠি পাঠিয়েছি। চা বাগানের ম্যানেজারদের কাছেও চিঠি পাঠিয়েছি।