অনলাইন ডেস্ক: | ১৪ জুলাই ২০১৭ | ৮:৫৬ অপরাহ্ণ
যশোর জেলা ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি রওশন ইকবাল শাহীর বিয়ের কথিত কাবিননামা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। কেন্দ্রে জমা দেয়া ওই কাবিননামাটি ভুয়া দাবি করে রওশন ইকবাল শাহী বলেছেন, তিনি বিয়ে করেননি। ওই কাবিনেরও সত্যতা নেই। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের কাজী ও যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও এ ব্যাপারে প্রতিবেদন দিয়েছেন।
ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ১০ জুলাই যশোর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি পদে রওশন ইকবাল শাহী ১০৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। এই সম্মেলনের পর একটি পক্ষ অভিযোগ তোলে নবনির্বাচিত সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী বিবাহিত। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিবাহিত ব্যক্তি ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসতে পারে না। ওই পক্ষটি এই অভিযোগের সপক্ষে একটি কাবিননামাও কেন্দ্রে জমা দিয়েছে।
কথিত কাবিননামা অনুযায়ী, যশোর সদর উপজেলার দাইতলা ফতেপুর এলাকার সাগর উদ্দিনের মেয়ে ইসরাত বিপাশার সঙ্গে ২০১৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রওশন ইকবাল শাহীর বিয়ে হয়।
এদিকে, এই কাবিননামা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হলে নবনির্বাচিত ছাত্রলীগ সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী দাবি করেন, কথিত ওই কাবিনটি ভুয়া। কাবিনটি যাচাইয়ের জন্য সদরের ফতেপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ ঘোষ বরাবর আবেদন করেছিলেন। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার আখতার হোসেন জানিয়েছেন, তাদের বিবাহ রেজিস্ট্রারে রওশন ইকবাল শাহী ও ইসরাত বিপাশার বিয়ের কোনো কাবিন নেই।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে নিকাহ রেজিস্ট্রার আখতার হোসেন জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরারব তিনি ওই প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। ওই কাবিননামার কোনো অস্তিত্ব তাদের ভলিউম বইয়ে নেই।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ ঘোষ জানান, মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে তিনি নিকাহ রেজিস্ট্রারের কাছে প্রতিবেদন চেয়েছিলেন। সেই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে তিনি একটি প্রত্যয়ন দিয়েছেন।
নবনির্বাচিত ছাত্রলীগ সভাপতি রওশন ইকবাল শাহীর দাবি, তিনি বিয়ে করেননি। যশোরে অনুষ্ঠিত শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর সম্মেলন, নেতৃত্ব বাছাই, সম্মেলনে উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, ছাত্রলীগ এবং তাকে বিতর্কিত করতে একটি মহল এই ষড়যন্ত্র চক্রান্ত করছে।