অগ্রবাণী ডেস্ক | ০৪ আগস্ট ২০১৭ | ৫:০৩ অপরাহ্ণ
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ভৈরবনগরে খুলনা থেকে সাতক্ষীরাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস ঢুকে পড়ল বাড়ির মধ্যে। এ ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন ও আহত হয়েছেন চারজন।
আজ সকাল ১০টার দিকে উপজেলার সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের ভৈরবনগরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন ভৈরবনগর এলাকার তারাপদ মণ্ডলের স্ত্রী গুরুদাসী মণ্ডল (৫০) ও আবদুল গফফারের মেয়ে আছিয়া খাতুন (১০)। বাড়ির বারান্দায় থাকা আছিয়া খাতুন নামে ছয় বছরের এক শিশু এ সময় বাসের ধাক্কায় নিহত হয়। বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একই এলাকার গুরুদাসী মণ্ডল (৫০) বাসের চাপায় নিহত হন।
আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিবুল ইসলাম জানান, বাসটি খুলনা থেকে সাতক্ষীরা অভিমুখে যাচ্ছিল। পথে তালা উপজেলার ভৈরবনগরে অপর একটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি সড়কের পাশে একটি বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এতে গুরুদাসী মণ্ডল ও আছিয়া খাতুন ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
এ সময় আশপাশের আরো চারজন সামান্য আহত হয়েছেন। তাঁদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার পর সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
এদিকে, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শ্যামনগর উপজেলায় মোটরসাইকেল ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে স্ত্রী নিহত ও স্বামী গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহত অবস্থায় নূর ইসলাম শেখ নামের ওই ব্যক্তিকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মান্নান আলী জানান, উপজেলার হরিনগর থেকে একটি ভাড়া করা মোটরসাইকেলে করে স্ত্রী লাইলি বেগমকে (৫৫) নিয়ে শ্যামনগরে যাচ্ছিলেন নূর ইসলাম।
পথে সদরের নকিপুর ঈদগাহের সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা ইটবোঝাই একটি ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলটির সংঘর্ষ হয়। এতে ছিটকে রাস্তায় পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যান লাইলি বেগম। গুরুতর আহত হন নূর ইসলাম। পুলিশ ট্রাকটি জব্দ করেছে। তবে চালক পলাতক।