অনলাইন ডেস্ক | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ৪:২৮ অপরাহ্ণ
অবশেষে রহস্যের উদঘাটন। একের পরে এক তরতাজা প্রাণ শিকার হচ্ছে ‘ব্লু হোয়েল’ চ্যালেঞ্জের। কিন্তু এই নীল তিমির খেলা নিয়ে এখনও মানুষের মনে রয়েছে ধোঁয়াশা। এটি কি আদৌ কোনও অনলাইন গেম? যদি এটা কোনও গেমও হয়, তা হলে সেই গেম-এর লিঙ্ক কোথায় পাওয়া যাচ্ছে? কেনই বা এত তাড়াতাড়ি এই খেলায় সাড়া দিচ্ছে ছেলেমেয়েরা। এই সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন কেরলের ২২ বছরের যুবক বি আলেকজান্ডার।
এই বিষয়ে অন্যান্য খবর
আলেকজান্ডারও ‘ব্লু হোয়েল’ খেলতে শুরু করেছিলেন তিনি। খেলতে খেলতেই ধরা পড়ে যান তিনি। তারপরেই এক ইংরেজি সংবাদমাধ্যমের কাছে ‘ব্লু হোয়েল’-এর অভিজ্ঞতার কথা জানান। আলেকজান্ডারের এক সহকর্মী হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেন। সেই গ্রুপেই একটি লিঙ্ক আসে। সেই লিঙ্ক খুলতেই তিনি জড়িয়ে পড়েন নীল তিমির সঙ্গে। আসতে থাকে একের পরে এক টাস্ক শেষ করার নির্দেশ।
প্রথমেই তাঁকে ছবি, মেল আইডি, ফোন নম্বর-সহ তাঁর যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করতে বলা হয়। এর পরেই তাঁকে একটি ভিডিও গেম খেলতে বলা হয়। এই ভিডিও গেম-এ একটি নীল তিমিকে বাঁচিয়ে তার মা-র কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
তৃতীয় টাস্ক-এ, মাঝরাতে হরর সিনেমা দেখে সেলফি তুলতে বলা হয় তাঁকে। চতুর্থ টাস্কে, মাঝরাতে একটি গোরস্থানে গিয়ে সেলফি তুলে পাঠাতে বলা হয়। আর পঞ্চম টাস্কেই তাঁকে হাতের উপরে ব্লেড দিয়ে নীল তিমি আঁকতে বলে ‘ব্লু হোয়েল’-এর অ্যাডমিন।
এই পঞ্চম টাস্কটি করার ঠিক আগেই ধরা পড়ে যান আলেকজান্ডার। আলেকজান্ডারের ভাই গিয়ে পুলিশকে খবর দেওয়ার ফলেই বাঁচানো গিয়েছে তাঁকে।
তবে এই মৃত্যু-ফাঁদ থেকে বাঁচতে পেরে খুশি আলেকজান্ডার।