অগ্রবাণী ডেস্ক | ২০ মে ২০১৭ | ৮:৪৬ অপরাহ্ণ
নাম, ঠিকানার মতোই জন্ম তারিখও যেকোনও মানুষের একটি বড় পরিচয়। স্কুলে ভর্তি করা হোক কিংবা চাকরিতে যোগ দেওয়া, সঠিক জন্ম তারিখের প্রয়োজন হয় সর্বত্র। কিন্তু অনেক সময়েই সরকারি নথিতেই জন্ম তারিখ ঘিরে তৈরি হয় বিভ্রান্তি। ঠিক যেমনটা হয়েছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদের খানজাসা গ্রামের প্রত্যেকেরই জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারি।
সাধারণভাবে মাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ডকেই জন্ম তারিখের প্রামাণ্য নথি হিসেবে ধরা হয়। আবার ভোটার কার্ডেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জন্ম তারিখের উল্লেখ থাকে। কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছে, এখন প্রত্যেক নাগরিকের আধার কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে বা কোনও পরিষেবা পেতে হলে এখন ভরসা এই আধার কার্ড। কিন্তু সেই আধার কার্ডেই যদি জন্মতারিখে গণ্ডগোল থাকে, তাহলে যে কীরকম বিপাকে পড়তে হয়, তা এখন হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছেন এলাহাবাদের খানজাসা গ্রামের বাসিন্দারা।
উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদের গুরপুরের জেসরা ব্লকের খানজাসা গ্রামে প্রায় হাজার দশেক লোকের বাস। জানা যাচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরেই গ্রামবাসীদের কারোও আধার কার্ড ছিল না। বহু ঘোরাঘুরি পর সম্প্রতি আধার কার্ড পেয়েছেন তাঁরা। আর সেই আধার কার্ড মোতাবেক, গ্রামের দশ হাজার মানুষের প্রত্যেকেরই জন্ম হয়েছে একইদিনে। ১ জানুয়ারি। প্রথমে অবশ্য বিষয়টি কারও নজরে আসেনি। উত্তরপ্রদেশের স্কুল পড়ুয়াদের সম্পর্কে তথ্যভাণ্ডার তৈরি করতে আধারকার্ড নথিভুক্ত করার কাজ চলছে। সেই কাজ করতে খানাজাসা গ্রামে গিয়েছিলেন স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তখনই আধার কার্ডে জন্মতারিখ সংক্রান্ত এই ভুলটি নজরে আসে। ঘটনা জানাজানিতে হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। গানজাসা গ্রামের প্রধান অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন, জন্ম তারিখ সংশোধন করে গ্রামবাসীদের নতুন আধার কার্ড দেওয়া হবে। – ইন্টারনেট