অনলাইন ডেস্ক | ০৯ জুলাই ২০১৭ | ৮:২৬ পূর্বাহ্ণ
মৃত সাগর নিয়ে বহু মিথ প্রচলিত আছে। বলা হয়ে থাকে এখানে কোনো মাছ নেই। কোনো গাছ নেই। সাগর নাকি মানুষকে গিলে ফেলে- আরও কত কি! ডেড সি নিয়ে মানুষের কৌতূহলের বাড়াবাড়ি থেকেই আসলে এ ধরনের গুজব ছড়িয়েছে। এই সাগরের কিন্তু আরও কয়েকটি নাম আছে। যেমন : ‘সি অফ সোডোম’, ‘সি অফ লট’, ‘সি অফ এ্যাসফ্যাল্ট’, ‘স্টিংকিং সি’, ‘ডেভিলস্ সি’।
আগে এই সাগরকে ঘিরে মানুষ নানা কাল্পনিক কাহিনী তৈরি করেছিল। অনেকে মনে করত এই সাগরে শয়তান আছে, নয়তো শয়তানের অভিশাপ আছে, তা না হলে পানি আছে, মাছ নেই, এ কেমন করে হয়? আর তাই তারা এর নাম দিয়েছিল ডেভিলস সি। আবার এই সাগরের তীরেই ছিল সোডোম নামের একটি শহর। সেখান থেকেই এর নাম দেওয়া হলো সি অফ সোডোম। এমনি প্রত্যেকটা নামের পেছনেও অনেক গল্প আছে। এখানে যে শুধু এই অদ্ভুতুড়ে হ্রদই আছে তা না, আছে অদ্ভুতুড়ে কিছু গাছও, যেগুলো পৃথিবীর আর কোথাও দেখা যায় না। তবে বাস্তবিক অর্থে ডেড সির অভ্যন্তরে বেশ কিছু বিশেষ প্রজাতির মাছ রয়েছে। সাম্প্রতিক কিছু বিজ্ঞানী পানির একেবারে নিচে কোনো ঝরনা থেকে আসা মিষ্টি পানিতে কিছু ব্যাকটেরিয়া জাতীয় প্রাণীর সন্ধান পেয়েছেন ।
এছাড়া সেখানে উদ্ভিদের দেখাও মিলেছে। আর মানুষ তো হরহামেশাই ডেড সিতে বেড়াতে যাচ্ছে। পর্যটকদের কাছে প্রিয় এই স্পট। ডেড সির পানির ওপর বসে মানুষ হাওয়া খেতে পারে না ডুবেই। ভূমধ্য সাগরের সমতলের ১৩০২ ফুট নিচে রয়েছে ডেড সির সমতল। লবণে ভরা এমন পানিকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘ব্রাইন’। ২০০১ সালে মৃত সাগর থেকে পাওয়া ব্রাইন দিয়ে ইসরায়েল প্রায় ২ মিলিয়ন টন পটাশ, ৪৪ হাজার ৯০০ টন কস্টিক সোডা, ২০ হাজার ৬০০ টন ব্রোমিন, ২৫ হাজার টন ম্যাগনেসিয়াম এবং সোডিয়াম ক্লোরাইড উৎপাদন করে। আর এই লবণ তোলার জন্য কাজ করছে প্রায় ১ হাজার ৬০০ মানুষ। এর চেয়ে নিচে পানির সমতল পৃথিবীর আর কোথাও নেই।