অনলাইন ডেস্ক: | ০৮ আগস্ট ২০১৭ | ৪:১৩ অপরাহ্ণ
নারায়ণগঞ্জে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ২০ বছর মেয়াদি উন্নয়নের মাস্টারপ্ল্যান বিষয়ে আজ মঙ্গলবার সিটি করপোরেশনের সঙ্গে মতবিনিময় সভার দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু জরুরি কাজ আছে জানিয়ে সেই সভায় যোগ দেননি রাজউক চেয়ারম্যান আবদুর রাহমান। আর এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সভায় উপস্থিত নাগরিক প্রতিনিধিরা। ফলে মতবিনিময় সভা স্থগিত ঘোষণা করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।
আজ বেলা ১১টায় সিটি করপোরেশন সভাকক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
রাজউক চেয়ারম্যানের সভায় উপস্থিত না হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সংস্থাটির প্রধান পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম জানান, সকালে হঠাৎ সরকারি একটি জরুরি কাজে যোগ দিতে যেতে হয় চেয়ারম্যান আবদুর রহমানকে। সে কারণেই তিনি সভায় উপস্থিত হতে পারেননি।
এদিকে চেয়ারম্যান না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সিটি করপোরেশনের জনপ্রতিনিধিরা। প্রয়োজনে অফিস কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর তাঁকে মতবিনিময় করতে আসতে রাজউকের প্রধান পরিকল্পনাবিদের কাছে দাবি জানান তাঁরা। এ সময় সভায় বেশ হট্টগোল সৃষ্টি হয়।
জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ, রাজউক নারায়ণগঞ্জের মানুষের জায়গা অধিগ্রহণ করলেও তা ব্যবহার না হওয়ায় বিক্রি করে দিচ্ছে। অথচ ব্যবহার না হলে ফেরত দেওয়া উচিত ছিল। এ ছাড়া ছয়তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার এখতিয়ার সিটি করপোরেশনকে ফেরত দেওয়ারও আহ্বান জানান তাঁরা।
এ সময় রাজউকের লাগামহীন দুর্নীতির চিত্রও তুলে ধরেন নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব সভাপতি মাহবুবুর রহমান মাসুমসহ অন্য বক্তারা।
এই পর্যায়ে আজকের সভা স্থগিত করেন মেয়র। তিনি বলেন, রাজউক চেয়ারম্যান বিদেশ থেকে দেশে ফেরার পর তিনি যে তারিখে বলবেন, সেই তারিখেই আবার মতবিনিময়ে বসবেন তাঁরা।
সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, প্রেস ক্লাবের পেছনের বালুর মাঠ বিক্রি বন্ধ করার দাবিতে তাঁরা একসময় রাজউক ঘেরাও করেছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এই জমি বিক্রি বন্ধ করার ব্যবস্থা করেছিলেন বলেও উল্লেখ করেন। অথচ এখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার পরও সেই জায়গা বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রাজউকের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন জমি নিয়ে যে সমস্যা আছে, সেগুলো আজকের বৈঠকে ফয়সালা হয়ে যাবে বলে আশা করেছিলেন মেয়র। তিনি বলেন, এর পরও তিনি চেয়ারম্যানের ওপর ভরসা করতে চান। তাঁর সঙ্গে বৈঠক করে সব সমস্যা সমাধানের বিষয়ে নিজের আশাবাদ ব্যক্ত করেন সেলিনা হায়াৎ আইভী।