অনলাইন ডেস্ক | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ১২:৩৯ অপরাহ্ণ
দিন যতই যাচ্ছে, কথিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের গুমর ততই ফাঁস হচ্ছে। হরিয়ানায় ডেরায় সাধ্বীদের হোস্টেলের দিকে তাঁর যাওয়া-আসার জন্য একটি গোপন সুড়ঙ্গ ছিল বলে খবর বেরিয়েছে।
আজ রোববার টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ডেরার ভেতরে সাধ্বী হোস্টেলে রাম রহিমের সরাসরি যাতায়াত ছিল। ওই যাতায়াতের জন্যই দুটি গোপন সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছিল।
আদালতের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাম রহিমের ডেরায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। এই অভিযানে গতকাল শনিবার ডেরার ‘গুফা’ থেকে সাধ্বী হোস্টেল পর্যন্ত একটি গোপন সুড়ঙ্গের সন্ধান পাওয়া যায়।
ডেরার ভেতরে একটি গোলাপি ভবন রয়েছে, যা রাম রহিমের কুখ্যাত ‘গুফা’ (গুহা) নামে পরিচিত। এটি ছিল তাঁর ধর্ষণ কক্ষ। এখানে শুধু রাম রহিম ও তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের প্রবেশাধিকার ছিল৷ এই ‘গুফা’ থেকেই সাধ্বী হোস্টেল পর্যন্ত গোপন সুড়ঙ্গটি চলে গেছে। সুড়ঙ্গটিতে চারটি কক্ষ আছে। কক্ষগুলোর সঙ্গে আছে ওয়াশ রুম। কক্ষগুলোয় যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা আছে।
অভিযানে ডেরায় একটি বেআইনি আতশবাজির কারখানা পাওয়া গেছে। জব্দ করা হয়েছে ৮৪ কার্টন পটকা। এ ছাড়া ডেরায় রাসায়নিক দ্রব্যও পাওয়া গেছে। ডেরায় একে ৪৭ রাইফেলের ম্যাগাজিনের ফাঁকা বাক্স পেয়েছে অভিযান পরিচালনাকারী দল।
গত ২৫ আগস্ট সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করার দিন পঞ্চকুলা ও সিরসায় বড় আকারের সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় তখন ৩৮ জন নিহত হয় বলে পুলিশ জানায়। তখন থেকেই হরিয়ানাজুড়ে শতাধিক স্থানে পুলিশ অভিযান চালায়। কয়েকটি স্থান থেকে অস্ত্রও পাওয়া গেছে।
দুই নারী ভক্তকে ধর্ষণের দায়ে গত ২৫ আগস্ট দোষী সাব্যস্ত হন রাম রহিম। এরপর তাঁকে দুটি মামলায় ১০ বছর করে মোট ২০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। তিনি এখন কারাগারে আছেন।