আজকের অগ্রবাণী ডেস্ক | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ
বেশ কিছু দিন ধরেই তাকে খুঁজছিল পুলিশ। গোটা দেশে তার বিরুদ্ধে জারি ছিল লুক আউট নোটিশ। অবশেষে গ্রেফতার করা হল ধর্ষক বাবাজি রাম রহিম সিংয়ের পালিতা কন্যা হানিপ্রীতকে। মুম্বাই থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। তবে এ বিষয়ে হরিয়ানা পুলিশ এখনও কিছু নিশ্চিত করে জানায়নি বলে খবরে প্রকাশ।
তদন্তে জানা যায়, পালিতা কন্যা হানিপ্রীতই রাম রহিমারে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ছিলেন। করাম রহিমের বিপুল ভক্ত ও সাম্রাজ্য সামলাতেন এই মহিলা। হাজতে ঢুকেও হানিপ্রীতের সঙ্গেই রাত কাটাতে চেয়েছিল রাম রহিম। হানিপ্রীত ‘পাপার পরী’ হিসেবেও পরিচিত।
রাম রহিমের সাজা ঘোষণার পর থেকেই পালিয়ে যায় হানিপ্রীত। তার খোঁজে দেশে তো বটেই পার্শ্ববর্তী দেশগুলোকেও অ্যালার্ট করেছিল হরিয়ানা পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, নেপালের কোথাও গা দিয়েছিল হানিপ্রীত৷ এই কারণেই হরিয়ানা পুলিশ নেপাল বর্ডারে পুলিশ পোস্টিং বাড়িয়ে দিয়েছে৷ হানিপ্রীতের সঙ্গে রয়েছেন রাম রহিমের তিন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিও৷
ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত ভারতের ‘ধর্মগুরু’ গুরমিত রাম রহিমকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি বিশেষ আদালত। সাজা ঘোষণা করেন সিবিআই বিচারক জগদীপ সিং। গত ২৮ আগস্ট রোহতক জেলা সংশোধনাগারে গিয়ে ওই সাজা ঘোষণা করেন বিচারক।
এদিকে, সাজা ঘোষণাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রোহতক-সিরসায় আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়। সেনাবাহিনীকেও প্রস্তুত রাখা হয়।
রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করার পর সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৩৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ফলে সাজা ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আশঙ্কায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়।
এছাড়া রোহতক সিরসার বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন করা হয় নয় হাজার আধা-সামরিক ও বিশাল পুলিশ বাহিনী। মোড়ে মোড়ে গাড়ি থামিয়ে চলে তল্লাশি। মোবাইল সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়। এমনকি পাঞ্জাবের ১৩টি জেলায় স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়।
উল্লেখ্য, ভক্ত নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে আদালত গত ২৫ আগস্ট রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করে।