| ০২ মার্চ ২০২১ | ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ
রাঙামাটি-কাপ্তাই সড়কের ১৯ কিলোমিটার সড়ক জুড়েই রয়েছে মুগ্ধতা। আঁকাবাঁকা ও উঁচু-নিচু পাহাড়ের পাশেই সুবিশাল কাপ্তাই হ্রদের সৌন্দর্য। যা দেখে বিমোহিত হন পর্যটকরা। সড়কের দুই পাশে সারি সারি পাহাড়। সেই পাহাড় ও হ্রদের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই এই সড়কে ভিড় করেন পর্যটকরা।
কিন্তু মুগ্ধতা ছড়ানো সেই সড়কের সৌন্দর্যে পড়েছে স্কেভেটরের কোপ। সম্প্রতি এলজিইডি’র উদ্যোগে রাস্তাটি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়ার পর অর্ধ-শতাধিক পাহাড়ের পাশ কাটা হয়েছে। সড়ক থেকে প্রায় ২০-২৫ ফুট দূরে যেখানে সড়ক হবে না, সে জায়গার পাহাড় কেটে মাঠ করে দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, কেটে ফেলা পাহাড় দুটির বালি সড়ক উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করেছে ঠিকাদার। এভাবে অপরিকল্পিতভাবে পাহাড় কাটায় জীব বৈচিত্র্যও পড়ছে হুমকির মুখে।
তবে ঠিকাদার নিজাম মিশু এই অভিযোগ অস্বীকার করে ব্যক্তি উদ্যোগে পাহাড় কাটার দায় চাপালেন স্থানীয়দের ওপর।
সঠিক ও পরিকল্পিত উপায়ে পাহাড় না কাটায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে পাহাড় ধসের শঙ্কার কথা জানালেন সড়কটি ব্যবহারকারী চালক ও যাত্রীরা। আর সড়ক সম্প্রসারণের নামে এভাবে পাহাড় কাটার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে রাঙামাটি প্রেসক্লাব সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল।
পাহাড় কাটার বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতির প্রয়োজন থাকলেও ২৪ ফুট সড়ক সম্প্রসারণে অনুমোদনের প্রয়োজন নেই বলে জানালেন উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়েজুল রাজ্জাক
রাঙামাটি-কাপ্তাই ১৯ কিলোমিটার সড়কটি সম্প্রসারণে ব্যয় হচ্ছে ৩২ কোটি টাকা।