অনলাইন ডেস্ক | ২৫ জুলাই ২০১৭ | ৬:৪১ অপরাহ্ণ
ঠিক ১০ বছর আগে এই দিনে, ২১ বছর বয়সী এক যুবকের অভিষেক ঘটল বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেটে। তারও ৮ দিন আগে অভিষেক ঘটেছিল টেস্টে। কলম্বোয় ওই ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দারুণ একটি জয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছিল।
স্বাগতিক লঙ্কানদের ১৯৬ রানে অলআউট করে দেয়ার পর ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় বাংলাদেশ হেরে গেল ৩৯ রানে। জয়সুরিয়া, পারভেজ মাহারুফ এবং দিলহারা ফার্নান্দোদের বোলিংয়ের সামনে মাত্র ১৫৭ রানে অলআউট টাইগাররা।
Bisk Club
হেরে গেলেও সেদিন আগমনী বার্তা জানিয়েছিল ২১ বছর বয়সী সেই ক্রিকেটার। বল হাতে ৫ ওভার বোলিং করে তিনি নিয়েছিলেন ২ উইকেট এবং ব্যাট হাতে ধ্বংসস্তূপের মাঝে ছিলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। লঙ্কান বোলারদের সামনে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেছিলেন তামিম ইকবাল। আর অভিষিক্ত এই ক্রিকেটার নিয়েছিলেন ৩৬ রান।
সেই যুবকটি আর কেউ নন, বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের অন্যতম নির্ভরতার প্রতীক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আজ থেকে ঠিক এক দশক আগে শুরু হয়েছিল তার পথচলা। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এখন যারা নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে অন্যতম মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিক এবং মাহমুদউল্লাহ। এই পঞ্চ পাণ্ডবই এখন বাংলাদেশের ক্রিকেটের মূল কাণ্ডারি।
মিডল অর্ডারে মাহমুদউল্লাহ নিজেকে একজন নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান হিসেবে গড়ে তুলেছেন। খেলে ফেলেছেন ৩৩টি টেস্ট এবং ১৪৫টি ওয়ানডে। টেস্টে ৩০.১৫ গড়ে রান করেছেন ১৮০৯ এবং ওয়ানডেতে ৩৪.৬৭ গড়ে রান করেছেন ৩১৫৫। টেস্টে সেঞ্চুরি ১টি। ১১৫ রানের ইনিংস। ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি ৩টি। এর মধ্যে দুটিই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, পরপর দুই ম্যাচে। অন্যটিও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, মাত্র কিছুদিন আগে আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় ক্রিকেট সিরিজে।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২০১৫ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে রিয়াদ পরপর দুই ম্যাচে করেন সেঞ্চুরি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার সেঞ্চুরিই বাংলাদেশকে জয় এনে দেয় এবং বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে দেয়।
টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ৫৮টি। ২০.২৫ গড়ে রান করেছেন ৮১০। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৬৪। হাফ সেঞ্চুরি ৩টি। বিপিএল টি-টোয়েন্টিতে নিয়মিতই আইকন রিয়াদ। বরিশাল বুলস এবং খুলনা টাইটান্সের অধিনায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। রিয়াদের আগেই ক্যারিয়ারে এক দশক পেরিয়েছেন পঞ্চ পাণ্ডবের বাকি চারজন- মাশরাফি, সাকিব, তামিম এবং মুশফিকরা।