অনলাইন ডেস্ক | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ৬:০৪ অপরাহ্ণ
কোরবানির ঈদ মানেই ভুরি ভোজের মহোৎসব। বিশেষ করে মাংসের বাহারি খাবার –দাবারের আয়োজন। তবে আয়েশ করে খেতে পারবেন তখনই যখন রান্নাটাও হবে যুৎসই।
কোরবানির ঈদ আর খাসির কোরমা হবে না তাই কি হয়। খাসির মাংসের মজাদার রান্নার মধ্যে খাসির কোরমা উন্নতম। চলুন দেখি নিই এই মজাদার রান্নার সহজ রেসিপি…
উপকরণ :
১.খাসির মাংস ১ কেজি,
২.দেশি পেঁয়াজকুচি ১/২ কাপ,
৩.পেঁয়াজবাটা ১/৪ কাপ,
৪.রসুনবাটা ২ চা-চামচ,
৫.লবণ ২ চা-চামচ,
৬.ঘি ১/২ কাপ,
৭.কাঁচা মরিচ ৮/১০,
৮.আদাবাটা ১ টেবিল-চামচ,
৯.দারচিনি বড় ৪/৫ টুকরা,
১০.তেজপাতা ২,
১১.এলাচি ৪/৫,
১২.টক দই ১/২ কাপ,
১৩.চিনি ৪ চা-চামচ,
১৪.কেওড়া ২ টেবিলচামচ,
১৫.তরল দুধ ২ টেবিল-চামচ,
১৬.লেবুর রস ১ টেবিল-চামচ,
১৭.জাফরান ১/২ চা-চামচ,
প্রণালি: খাসির মাংসগুলো কেটে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে সুন্দর করে চালনী বাটিতে রেখে পানি ঝড়িয়ে নিতে হবে তার পর সব বাটা মসলা যেমন গরম মসলা, টক দই, সিকি কাপ ঘি ও লবণ দিয়ে মেখে হাত ধোয়া অল্প পরিমাণ পানি দিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচে চুলায় বসিয়ে দিন। পানি কমে গেলে কেওড়া ও কাঁচা মরিচ দিয়ে আবার হালকা নেড়ে ঢেকে দিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর অন্য একটি চুলায় বাকি ঘি গরম করে পেঁয়াজকুচি সোনালি রং করে ভেজে মাংসের হাঁড়িতে দিয়ে বাগার দিন। তারপর চিনি দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। ৫/৭ মিনিট পর ঢাকনা খুলে দুধে ভেজানো জাফরানগুলো ওপর থেকে ছিটিয়ে দিয়ে আরও ৫/৬ মিনিট ঢেকে রাখতে হবে । তারপর ঢাকনা খুলে লেবুর রস দিয়ে হালকা নেড়ে আঁচ একেবারে কমিয়ে তাওয়ার ওপর ঢেকে প্রায় ২০ থেকে ৩০ মিনিটের মতো দমে রাখুন। যখন কোরমা মাখা মাখা হয়ে বাদামি রং হবে এবং মসলা থেকে তেল ছাড়া শুরু করবে, তখন নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।