অনলাইন ডেস্ক | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ১২:৩৯ পূর্বাহ্ণ
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘এই গণবিরোধী সরকার আসলে জনগণের সরকার নয়। এটা জনগণের সরকার হলে জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝত।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে রিজভী এ কথা বলেন। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধের দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর উদ্যোগ বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নেই। শুধু বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে দুই থেকে এক ঘণ্টা কথা বলে ছেড়ে দিচ্ছে।’ তাঁর ভাষ্য, ‘নাফ নদীর তীরে নতুন কারবালা তৈরি হয়েছে। সেখানে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নেই। তারা আহত, ক্ষুধার্ত, গুলিবিদ্ধ ও বিবস্ত্র। তাঁদের কী মানবাধিকার নেই? বাংলাদেশ সরকারের যে দায়িত্ব পালন করার কথা, সরকার তা করেনি।’
মানববন্ধনে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর যে নির্যাতন হচ্ছে, সে সন্ত্রাস দমনে প্রতিবাদ করতে হবে। এটা প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব। ৪০ মিনিটব্যাপী এই মানববন্ধনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও কয়েকটি সংগঠনের মানববন্ধন
একই সময়ে আরেকটি মানববন্ধনে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধে অবিলম্বে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। মানববন্ধনে জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার বলেন, অং সান সু চি মিয়ানমারে বিকৃত উদাহরণ তৈরি করেছেন। যে দেশে তিনি সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের সংগ্রামে লড়েছেন, সেই দেশিই রোহিঙ্গাদের ওপর এমন গণহত্যা হচ্ছে। আর তিনি চুপ আছেন। এই অত্যাচার মেনে নেওয়া যায় না। তিনি আরও বলেন, ‘এই পরিস্থিতি নিয়ে কেউ রাজনীতি করার চেষ্টা করবেন না। রোহিঙ্গা বিষয় নিয়ে রাজনীতি করার সময় এটা নয়। এটা মানবতার বিষয়। মানবতার দিক বিবেচনা করে আমাদের এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।’ তিনি অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
‘শীর্ষ ওলামা মাশায়েখ ও বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ’ ব্যানারে পৃথক মানববন্ধনে বাংলাদেশে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করার দাবি জানিয়েছে কয়েকটি ইসলামি দলের নেতারা।
এ ছাড়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য ফাউন্ডেশন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ মেস সংঘ (বিএমও) এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গণহত্যার প্রতিবাদে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট পৃথক মানববন্ধন করে।