অনলাইন ডেস্ক | ২৮ অক্টোবর ২০১৭ | ৮:২২ অপরাহ্ণ
কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালং এলাকায় রোহিঙ্গা যুবকের দায়ের কোপে আবদুল জব্বার (৩৫) নামের এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবদুল জব্বার খুনিয়াপালং এলাকার বশীর ফকিরের ছেলে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় লোকজন রোহিঙ্গা যুবক জিয়াবুল হককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদ জানান, তাঁর ইউনিয়নের হেডম্যানপাড়ার শামসুল আলমের স্ত্রী দিলারা বেগম মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বাসিন্দা। দিলারার দুঃসম্পর্কের ভাইয়ের ছেলে জিয়াবুল হক। দিলারার সঙ্গে নিহত আবদুল জব্বারের পরকীয়া ছিল। শুক্রবার গভীর রাতে দিলারার সঙ্গে গোপনে কথা বলছিলেন আবদুল জব্বার। সেটা দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে আবদুল জব্বারকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে জিয়াবুল। তাৎক্ষণিকভাবে জব্বারকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
এদিকে জব্বারের ওপর হামলার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় রোহিঙ্গা যুবক জিয়াবুলকে আটক করে স্থানীয় লোকজন। পরে তাঁকে রামু থানায় সোপর্দ করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রামু থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ছানা উল্লাহ জানান, আটক জিয়াবুল হক মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ফকিরা বাজার এলাকার মীর আহমদের ছেলে। দুই মাস আগে তারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। তখন থেকে দুঃসম্পর্কের ফুফু দিলারার বাসায় ছিলে জিয়াবুল। জব্বারের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে।