শরিফুল ইসলাম | ২৩ জুলাই ২০১৭ | ৪:৪৩ অপরাহ্ণ
নড়াইলের লোহাগড়ায় সৈয়দ আল মামুন (উজির) নামে একজন পুলিশ ইন্সপেক্টর তার স্ত্রীকে বেদম মারপিট করেছে। মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় ফাতেমা আকতার শিখা(২৩) কে লোহাগড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতাল সুত্রে ও অভিযোগে ফাতেমা জানান, ২০১৩ সালের ৮এপ্রিল কুন্দসী গ্রামের সৈয়দ আল মামুন (উজির) এর সাথে তার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে আরাফাত নামে আড়াই বছরের শিশু সন্তান রয়েছে। বিয়ের পরেই বিনা কারনে স্বামী তাকে মারপিট করতো। ভয়ে কোনদিন প্রতিবাদ করতে পারেননি।
সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) রাত ১ টা থেকে শনিবার (২২ জুলাই) সকাল ১২টা পর্যন্ত কারণ ছাড়াই ফাতেমাকে কয়েক দফায় লোহার রড,লাঠি দিয়ে স্বামী সৈয়দ আল মামুন বেদম মারপিট করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া হাসপাতালে এনে ভর্তি করে। ফাতেমা আরো জানান, সৈয়দ আল মামুন তাকে হুমকি দিয়েছেন যে ছেলের বয়স তিন বছর হলে ছেলেকে বোডিং এ রাখা হবে এবং তোকে নির্যাতনের ওপর রাখা হবে। মারপিটের সঠিক কারণ উল্লেখ করেনা সৈয়দ আল মামুন। তবে, শ্বশুর-শ্বাশুড়ীকে নিয়ে গালিগালাজ করে। মেয়ের নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছেন ফাতেমার মা ফুরজাহান বেগম। তিনি জানান, আমার মেয়ের গলা পাড়ায় ধরে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে। কুন্দসী গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে ফাতেমা। ফাতেমা সন্দিহান নির্যাতনের বিচার পাবেন কিনা। তিনি বলেন, মামুন পুলিশের লোক। আমি বিচার চাইলেও বিচার হয়তো পাবো না।
সৈয়দ আল মামুন(উজির) আলী এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজি না হলে ও তিনি বলেন, আমি সিএমএম কোর্ট কেএমপি(খুলনা)তে কোর্ট ইন্সেপেক্টর পদে কর্মরত রয়েছি। ফাতেমা নির্যাতনের বিচার চান। এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ওসি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি হাসপাতালে রোগী ফাতেমা কে দেখতে গিয়েছিলাম। তবে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি।