অগ্রবাণী ডেস্ক | ৩১ জুলাই ২০১৭ | ১:১০ পূর্বাহ্ণ
শরীয়তপুর সদর উপজেলার কোয়ারপুর তেঁতুলিয়া এলাকায় এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই কিশোরী বর্তমানে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গত শুক্রবার রাতে ওই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়। মেয়েটির বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুর এলাকায়। সে নানি বাড়িতে থাকতো। এ ঘটনায় পালং মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন কিশোরীর মামা।
ঘটনার শিকার ওই কিশোরীর পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, ধর্ষিতা কিশোরী তার নানি বাড়ি শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের কোয়ারপুর তেঁতুলিয়া গ্রামে থাকে। তার মা দুবাই প্রবাসী হওয়ার কারণে সে দীর্ঘদিন যাবত নানি বাড়ি থাকেন। একই গ্রামের প্রতিবেশী শাহআলম ফকিরের ছেলে বখাটে খোরশেদ ফকির মেয়েটিকে মাঝে মধ্যে কু-প্রসতাব দিয়ে আসছিল।
মেয়েটি ওই বখাটের প্রসত্মাবে রাজি না হওয়ায় সে ক্ষিপ্ত হয়। গত শুক্রবার রাতে মেয়েটি নানি বাড়ির ঘর থেকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে বের হয়। হঠাৎ করে খোরশেদ ফকির এবং তার বন্ধু দিপুসহ অপর দুই সহযোগী মেয়েটিকে মুখ চেপেধরে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে পার্শ্ববর্তী ইটের ভাঁটায় নিয়ে যায়।
সেখানে খোরশেদ ফকির মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। দীর্ঘ সময় মেয়েটি ঘরে না ফেরার কারণে আত্নীয় স্বজনেরা তাকে আশপাশে খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে রাত ১২টায় পার্শ্ববতী রাজগঞ্জ মোড়ে ইটের ভাঁটার নিকট গিয়ে মেয়েটির সন্ধান পায়। পরে তারা মেয়েটিকে উদ্ধার শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ নিয়ে গতকাল শনিবার সন্ধায় স্থানীয়ভাবে ধর্ষণের বিষয়টি ধামা-চাপা ও মীমাংসার চেষ্টা করে। সেখানে পালংমডেল থানারউপ-পরিদর্শক শেখ নজরুল ইসলাম উপস্থিত হয়। ছেলের বাবা শাহআলম ফকির সালিশ বৈঠকে পুলিশ উপস্থিত হয়েছে টের পেয়ে তিনি আর সেখানে উপস্থিত হননি। এ কারণে ঐ দিন বিষয়টি মীমাংসা করতে ব্যর্থ হয় তারা।
এ ঘটনায় রবিবার সন্ধায় মেয়েটির মামা (শওকত কাজি) বাদী হয়ে খোরশেদ ফকির ও তার ২ সহযোগী দিপু হাওলাদার ও রাসেদ ছৈয়ালকে আসামী করে পালং মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে খোরশেদ ফকির পলাতক রয়েছে।
ঘটনার শিকার ওই কিশোরীর মামা বলেন, আমার ভাগ্নিকে খোরশেদ ফকির ও তার সহযোগিরা সর্বনাশ করেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা মাতবররা মিমাংশার প্রসত্মাব দেয়। তাদের প্রসত্মাবে আমরা দরবারে বসি। পুলিশ দেখে ছেলের বাবা দরবারে আসেনি। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।
পালংমডেল থানার উপ-পরিদর্শক শেখ নজরুল ইসলাম বলেন, গত শনিবার আমি ডোমসার ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া গিয়ে ছিলাম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল করতে। সেখানে রাসত্মায় লোকজনের ভিড় দেখে কাছে যাই। শুনলাম একটি ঝামেলা হচ্ছে। ধর্ষণের ঘটনা শুনে আমি তাদেরকে থানায় আসতে বলেছি।
পালংমডেল থানার ওসি মোঃ খলিলুর রহমান বলেন, এই ঘটনায় ওই কিশোরীর মামা বাদি হয়ে একটি মামলা করেছে। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।