অনলাইন ডেস্ক | ১৮ মে ২০১৭ | ১:১২ পূর্বাহ্ণ
শাফাত-নাঈমের টার্গেট ছিলো সুন্দরী নারীদের প্রতি। সেলিব্রেটি হতে স্বপ্ন দেখেন এমন মেয়েদের সহজেই ডেকে আনা হতো। দেয়া হতো নানা প্রলোভন। প্রলোভনে পা দিয়ে সম্ভ্রম হারাতে হয়েছে অনেককে। এ বিষয়ে তারা কোনো অভিযোগ না করলেও বিষয়টি জানতেন সাফাত আহমেদের ঘনিষ্ঠরা।
পরিচিত মডেল, অভিনেত্রী, নায়িকাদের অনেকে ডাকলেই সাড়া দিতেন। তাদের মূল্যবান গিফট ও কাজের সুযোগ দিতেন সাফাত। আবার দুই-একজন মডেল সাফাতের ডাকে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেও ফিরে গেছেন। তাদের অভিযোগ রক্ষিতার মতোই তাদের ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন সাফাত।
সাফাতের বেপরোয়া জীবন-যাপনের কারণেই প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে। এতকিছু জানার পরও সাফাতকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন বলে জানান মডেল পিয়াসা। পিয়াসা বলেন, স্ত্রী হিসেবে আমি তার মর্যাদা বৃদ্ধির চেষ্টা করেছি। তাকে আমি টেলিভিশনে টকশোতে নিয়ে গেছি। ২০১৫ সালে শ্রেয়া ঘোষালের প্রোগ্রামে তাকে মঞ্চে বসার সুযোগ করে দিয়েছি। আমার কারণে ক্রিকেট তারকাসহ অনেকের সঙ্গে তার বন্ধুতা হয়েছে। আমি তাকে বেপরোয়া জীবন থেকে ফিরিয়ে এনেছিলাম। আমার সঙ্গে বিচ্ছেদের পরপরই সাফাত আবার বিপদগামী হয়েছে।
পিয়াসা বলেন, গত মার্চের ৮ তারিখের পরপরই ভারতে যায় সাফাত। সেখানে তার সঙ্গে এক মডেল ছিল। অর্থের কারণে এসব মডেলরা স্বেচ্ছায় সাফাতের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সময় কাটাতেন। সাফাত-নাঈমের টার্গেট থাকতো পরিচিত সুন্দরী মডেল ও উদীয়মান সুন্দরীরা। তাদের সহজে বশ করতো নাঈম। পরিচিতদের গিফট ও কাজ দেয়ার কথা বলে ডেকে আনা হতো। আর নতুনদের প্রতিষ্ঠিত করার প্রলোভন দেখাতো। কখনো কখনো বন্ধুতা করেও বিছানা পর্যন্ত নিয়ে যেতো তারা। বনানীর-১১ এর যে হোটেলে নিয়মিত আড্ডা দিতো সাফাত, সাকিফ ও নাঈম। ওই হোটেলে বার না থাকলেও গাঁজা, মদ ও নারী ছিল তাদের জন্য ওপেন। তাদের আড্ডায় ঢাকার একজন এমপি পুত্র, ঢাকার বাইরের আরেক এমপি পুত্র ও একজন ক্রিকেটারও অংশ নিতো। আড্ডায় মাতাল হয়ে মডেল ও আইটেম গার্লদের সঙ্গে নাচ করতো তারা। হোটেলের কক্ষেই রাত্রি যাপন করতো সাফাত, নাঈমরা। তবে যতদিন সাফাতের স্ত্রী হিসেবে ছিলেন ততদিন তাকে এসব আড্ডা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেছেন বলে দাবি করেন পিয়াসা।
সূত্র : মানবজমিন