নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ৬:১১ অপরাহ্ণ
কবি নার্গিস আলমগীর। ১৯ সেপ্টেম্বর (আজকের এই দিনে) দ্বারভাঙ্গা জেলার শোভনী গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তার শৈশব কাটে নবাবগঞ্জের ব্রাহ্মনখালী গ্রামে। স্কুল জীবন আজিমপুর গালস্ হাই স্কুল। সাহিত্যাঙ্গনে প্রবেশ ১৯৭৩ সালে। নারী জাগরনের কন্ঠস্বর পাক্ষিক ‘রণরঙ্গিনী’ ও ‘নারীকন্ঠ’ পত্রিকার সহ-সম্পাদিকা হিসেবে কাজ করেন। তিনি আমেরিকা প্রবাসী হলেও বাংলা ভাষা ও সাহিত্যিকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তিনি জাতীয় লেখক ফোরাম আমেরিকা শাখায় সংযুক্ত। বাবা মরহুম মোহাম্মদ রমজান আলী শেঠ, মা মরহুমা আনোয়ারা বেগম আন্না।
নার্গিস আলমগীর প্রখ্যাত হারবাল চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. আলমগীর মতি’র সহধর্মিনী। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে তিন কন্যা ও এক পুত্রের জননী।
প্রবাসফেরত, ডুয়েল সিটিজেন, কবি-গীতিকার নার্গিস আলমগীর দেশেই বাকি জীবনটা কাটাতে চান। স্বদেশে থেকেই চালাতে চান তার সৃষ্টিকর্ম। প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি জন্মদিনে তার সাক্ষাৎকার।
আপনার গান, কবিতা, গীতিকাব্যের মধ্যে ধর্ম, সাধনা, আধ্যাতিকতার প্রভাব বেশি কেন? এর রহস্য কি?
এটি আসলে আমার জন্মগত বিষয়। ছোটবেলা থেকেই ধর্ম, সৃষ্টি, স্রষ্টা, প্রকৃতি আমাকে বেশি ভাবিয়েছে। এখনো ভাবায়। এ কারণেই আমার লেখালেখিতে এ ভাবনার প্রভাব বেশি।
সুদূর আমেরিকায় দীর্ঘদিন পাশ্চাত্য জীবনযাপনেও কিভাবে এ ভাব ও চিন্তা ধরে রেখেছিলেন?
ব্যাপারটি আসলে একেবারেই মানসিক। দেশ-প্রবাসের দূরত্ব এ ভাবনাকে বদলাতে পারে না। আমেরিকায়ও আমি বাংলাদেশকে খুঁজেছি। ফ্লোরিডার বোকারটনেও আমি দেখেছি নবাবগঞ্জের বারুয়াখালীকে। সেখানে গল্প, কবিতা, গান ইত্যাদি সৃষ্টিশীলতায় আমার এ জীবন ও প্রকৃতিবাদী ভাব- ধারণা কোনো অসুবিধা হয়নি। এতে প্রবাসীদের সহায়তা ও সমর্থন পেয়েছি। বিভিন্ন উপলক্ষে ও উৎসবে সেখানে বাঙালি সাহিত্য-সংস্কৃতিচর্চায় আমার কোনো সমস্যা হয়নি। আমেরিকানসহ অন্য বিদেশিরাও আমাদের বাঙালি সাহিত্য-সংস্কৃতিচর্চায় বিমোহিত হয়েছেন।