নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ১২:৫২ অপরাহ্ণ
বাবার নাম পরিবর্তন করে ছাত্রলীগের পদ লাভ করার অভিযোগে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত বছরের ৩১ জুলাই ইব্রাহিমকে সভাপতি করে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপরই অভিযোগ ওঠে ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে।
ইব্রাহিমের বিরুদ্ধ অভিযোগ, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে যে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়েছেন তা ভুয়া।
মূলত নিজের বয়স ২৮ বছরের মধ্যে রাখতে গিয়ে তিনি নিজের প্রকৃত এনআইডি জমা না দিয়ে ভুয়া পরিচয়পত্র জমা দিয়েছিলেন।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ইব্রাহীম হোসেন অন্যের সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি পদে মনোনয়ন ফরম জমা দেন। এছাড়াও তিনি তার বয়স জালিয়াতি ও করেছেন। মো. ইব্রাহিম হোসেনের বয়স শেষ হয়ে যাওয়ায় বাবার নাম, মায়ের নাম ও জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর পরিবর্তন করে বয়স কমানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। যেখানে ইব্রাহীম তার নাম ঠিক রেখে পিতা-মাতার নাম পরিবর্তন করেছেন। অর্থাৎ ইব্রাহীম অন্য কোনো ইব্রাহিমের সার্টিফিকেট ব্যবহার করেছেন। জাতীয় পরিচয় পত্রের পিতা-মাতার নাম ও পরিচয় পত্র ভেরিফাইড কপির পিতা-মাতার নামের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতির মনোনয়ন ফরমের পিতা-মাতার নাম মিল পাওয়া যায়নি। ইব্রাহিমের আসল জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর ১৯৮৯৭৯১৫১৭০০০০০৪। নির্বাচন কমিশনের তথ্য ভান্ডার অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারী ১৯৮৯। বাবার নাম আজম আলী পাত্তর ও মায়ের নাম শাহানারা আক্তার। কিন্তু ছাত্রলীগের সম্মেলনে সভাপতির ফরম এ জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর উল্লেখ করেছেন ১৯১০৭৯১১৫৩৭০০০০৪৩ ও জন্ম তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০। এছাড়াও ইব্রাহিমের বাবার নাম উল্লেখ করেছেন ইউনুস আলী ও মায়ের নাম মেহেরুন নেসা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ইব্রাহিমের বয়স শেষ হওয়াতে অন্য এক ইব্রাহিমের আইডি কার্ড ব্যবহার করাতে বাবা ও মায়ের নাম ভিন্ন হয়েছে।