অগ্রবাণী ডেস্ক | ১৩ জুন ২০১৭ | ৫:৪৫ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে দুই নারীর বিরুদ্ধে সমকামিতার অভিযোগ উঠেছে। তারা সম্পর্কে সতীন (দুই জনের স্বামী একজনই)। তাদের মধ্যে একজন স্কুলশিক্ষিকাও রয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা অফিসার ও পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। ওই দুই নারীর বিরুদ্ধে এলাকার মেয়েদের বিভিন্ন প্রলোভনে ফেলে অবৈধ কার্যক্রমে লিপ্ত করার অভিযোগও রয়েছে।
সমকামি দুই নারী হলেন- কামারখন্দের ডি.ডি শাহবাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ও নান্দিনামধু গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিনের মেয়ে বিলকিস খাতুন এবং বড়কুড়া গ্রামের নাজিমুদ্দিন প্রামানিকের মেয়ে মরিয়ম খাতুন। তারা দুইজনে মিলে আবার স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই মুহূর্তে ওই দুই নারী স্বামীর সংসার ছেড়ে অন্যত্র বাসা ভাড়া নিয়ে একত্রে বসবাস করছেন বলে জানা গেছে।
মরিয়মের স্বামী আব্দুর রহমান অভিযোগ করেন, প্রায় তিন বছর আগে তিনি মরিয়মকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকে স্ত্রী মরিয়ম মোবাইলে সারাক্ষণ কথা বলত। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি মোবাইলের অপর প্রান্তের মানুষটি স্কুল শিক্ষিকা বিলকিস। এক পর্যায়ে বুঝতে পারি তাদের মধ্যে অবৈধ কোন সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। নিষেধ করা সত্ত্বেও মরিয়ম শোনে না। একপর্যায়ে স্কুল শিক্ষিকা বিলকিস তার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে দুই সন্তানসহ আমার দ্বিতীয় স্ত্রী মরিয়মের বাড়িতে চলে আসে। এ নিয়ে বিবাদ শুরু হলে দ্বিতীয় স্ত্রী মরিয়মের চাপে ২০১৫ সালের ৫ মে স্কুল শিক্ষিকা বিলকিসকে তৃতীয় বিয়ে করি। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর দেখতে পারি তারা দুজনে ঘরের দরজা বন্ধ রেখে দীর্ঘসময় কাটায়। এতে আমার সন্দেহ হয়। একদিন দেখতে পাই, ঘরের দরজা বন্ধ করে দু’জনে সমকামিতায় মিলিত হয়েছে। তখন বিষয়টি বাড়ির সকলেই দেখে ফেলে। এ নিয়ে পরিবারের মধ্যে ঝগড়া হলে স্কুল শিক্ষিকা বাড়ি থেকে চলে যায়। পরে মরিয়মও তার সাথে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। বর্তমানে তারা কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল গ্রামের মুছা মন্ডলের বাসা ভাড়া নিয়ে এ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় তাদের অবৈধ কার্যক্রম বন্ধের জন্য দুজনকে বোঝানোর চেষ্টা করি। কিন্তু তারা আমাদের কথা না শুনে উল্টো আমাকে ডিভোর্স দেয় এবং আমাকে ফাঁসানের জন্য মরিয়ম মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। আর মামলার স্বাক্ষী দেয় আমার তৃতীয় স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা বিলকিসকে। এ অবস্থায় মিথ্যা মামলা কাঁধে নিয়ে আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছি। তিনি আরো জানান, বিষয়টি নিয়ে বিলকিসের সাবেক শ্বশুর ও মরিয়মের মা শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
মরিয়মের মা রহিমা খাতুন বলেন, মেয়েটির জন্য এলাকায় মুখ দেখাতে পারছি না। আমার মেয়ে মরিয়ম ও স্কুল শিক্ষিকা বিলকিস সমকামিতা করে সমাজকে নষ্ট করছে। মানুষে ছিঃ ছিঃ করছে।। আমি নিষেধ করায় আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে তারা জামতৈল গ্রামে জনৈক মুছার বাড়িতে থেকে এ অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আকন্দ মোহাম্মদ ফয়সাল উদ্দিন জানান, লিখিত অভিযোগ পাবার পর কামারখন্দ থানাকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে মরিয়মের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। বিলকিস বলেন, আমাদের যা খুশি তা করবো। আমরা তো কাউকে বিরক্ত করছি না। তাহলে অন্যদের এত মাথা ব্যথা কেন?